Hello what’s up guys কেমন আছেন সবাই ? আশা করি ভালো আছেন । সবাইকে স্বাগতম আজকের একটি নতুন পোস্টে । টাইটেল আর thumbnail দেখে already বুঝে গেছেন আজকের টপিক কি । আশা করি পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখবেন । তো বেশি কথা না বলে আজকের পোষ্ট শুরু করা যাক গল্পে্র নাম : “কৈশোর মাত্রই কঠিন সেতু”
কৈশোর! শব্দটি আমরা সবাই চিনি। তবে শব্দটির রহস্য আমরা কতটুকু জানি? এখন কৈশোর শব্দের আবার কী রহস্য আছে? এটাই তো প্রশ্ন? নাহ, এই শব্দের রহস্য বলতে শব্দটির মূল-এ যে মানুষগুলোর জীবন পার হয় তাদের রহস্য বুঝানো হয়েছে। ১৩ থেকে ১৯ পর্যন্ত যে জীবনের একটি অংশ কেটে যায় সেটাকেই মূলত ‘টিনএজ’ বা বয়ঃস্বন্ধিকাল বোঝায়। ইংরেজিতে (Thirteen – Nineteen) এই Teen life’কে জুড়ে জীবনের একটি অবকাঠামো নির্মাণ হয়। এই সময়। একজন বালক/বালিকা কৈশোরে এসে হঠাৎ করে একটি নতুন পৃথিবী আবিষ্কার করে। পৃথিবীটাকে যেন নতুন করে শিখতে শুরু করে। ভুল-বাধা আরও কতো কিছুর সম্মুখীন হয়ে জীবনের একটি কঠিন অংশ পার হয় এসময়।
না ঠিক না ভুল? অর্থহীন পথের মাঝে দাঁড়িয়ে যেন হারিয়ে যেতে চায়। কী এমন রহস্য? আদৌ রহস্য? হ্যাঁ! রহস্য বটে; কিন্তু সেটি ততদিন, যতদিন জীবনের এ সময়টুকু কেটে না যায়। এরপর কি এ রহস্য ভেদ করা যায়! তুমি পারবে এই রহস্য ভেদ করতে পারবে সঠিকভাবে এই পথে দৌড়োতে। কিন্তু সবাই পারে না। শুধু এ-জীবনের শিক্ষাটি মনে রাখতে। সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে যদি ধরি, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনই ভুল পথে বা ভুল সিদ্ধান্তে চলে যায়। একজন সদ্য বয়ঃসন্ধিতে উঠা কিশোর/কিশোরীর হঠাৎ করে এমন অনেক বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হয়, যেখানে ভুল-সঠিক বিচার করার মতো বাস্তব জ্ঞান বা সঠিক বিকাশ পর্যন্ত তার থাকে না। ভুল-সঠিক এর এই ঘূর্ণন-এ পড়ে কি করা উচিত, কি না তা বোঝার ক্ষমতা দখলে থাকে না তার। এসবের ভিড়ে কিছু কিশোর ভুল বন্ধু-বান্ধব এর পাল্লায় পড়ে যায়। কিছু কিশোর কারো সাথে মিশতে না পারায় একাকীত্বে ভোগে, কেউ আবার মানিয়ে উঠতে পারে না এই নতুন আরম্ভের পথচলায়।
একটি কিশোর তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে উঠার আগেই অনেক বাস্তবতা তার চোখের সামনে এগিয়ে আসতে শুরু করে, যে সে রীতিমত কনফিউজড হয়ে যেতে থাকে। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই কৌতূহল বসতো, উল্টো-পাল্টা অনেক কিছু করে বসে। একটি কৈশোরে থাকা ব্যক্তি সবসময় সবকিছুর সামনে কৌতুহলী। বাবা মা বা পরিবারের সান্নিধ্যের চেয়ে বন্ধু-বান্ধবের সহচর্য বেশী পছন্দ করে কিশোররা। ফলে খারাপ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে বা পাড়ার বড় ভাইদের কৌতূহল- কথার চাপে মাদক গ্রহণ করে। ফেলে অনেকেই, যা সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে বেশি ঘটনমান ও প্রভাবিত।
মানুষ মাত্রই ভুল। তবে ভুল যখন হয় নিজের অজান্তেই, তার ব্যাখ্যা খুঁজতে গেলে সম্মুখীন হতে হবে প্রশ্নের। ঠিক তোমার কাছে এটি রহস্যময়ী লাগবে, কিন্তু একটা সময় তুমি চিন্তা করবে যে, আমি কেন বুঝিনি? আমিতো যথেষ্ট বুঝতাম! আমি কিভাবে এসব করেছিলাম? যখন তুমি বুঝবে, যখন এ প্রশ্নগুলো নিজের কাছে এসে হাজির হবে, তখন উত্তর হবে একটাই ‘বয়ঃসন্ধিকাল’। এসময় কেউ যুক্তি দিয়ে চিন্তা-চেতনাকে স্থির করতে পারে না। আবেগ-রাগ-ক্ষোভ কাজ করে অকারণেই। তাই অতিমাত্রায় পড়ার চাপ, অন্যের সাথে নিজের তুলনা, বাবা মায়ের শাসন অথবা অন্য কোনো মানসিক চাপ সৃষ্টি হলে সেটি কোনো কিশোর/কিশোরী স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না কোনোভাবেই বরং এসব থেকে সৃষ্টি বা শুরু হয় হতাশার দেয়াল নির্মাণ (Main of Depression)। আমরা জানি, সাধারণভাবে মানসিক স্বাস্থ্য বলতে বোঝায়, ‘Full and harmonious functioning of the whole personalitz’ আর বেশিরভাগ সময় হতাশাগ্রস্ত কিশোর এর মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে এমন একটি পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় যা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বিলম্ব হয়ে যায়। কৈশোরের হতাশা এক কঠিন পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়াতে পারে। কেননা, মানুষ শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও প্রৌঢ়ত্ব প্রতিটি ধাপে একটি সুনির্দিষ্ট আচরণের ধরণ দ্বারা প্রভাবিত হয়। আর কৈশোরকালের ধরন অনুযায়ী মানসিক কাঠামোর অবস্থাই থাকে আবেগপ্রবণ, উত্তেজনাদায়ক, কৌতূহলসম্পন্ন আত্মমর্যাদা বোধগম্য, জেদপূর্ণ ও রাগী।
এক্ষেত্রে অন্তদৃষ্টি দিয়ে নিজেকে বুঝতে পারে না কিশোর/কিশোরী, বুঝতে পারে না কী ভুল কী ঠিক। তাই অজান্তেই কোনো ভুল করে বসলে বাবা-মা ও আরেকটি ভুল করে বসে এবং সেটি হলো ভুল শুধরে না দিয়ে বিপরীতে তাকে আরও নানান কথায় অপমান করে থাকে তারা। তাদের ধারণা যে এতে কিশোরটি অপমানিত বোধ করবে এবং সামনে থেকে কখনো কাজটি আর করবে না।
ভুল। ভুল এ ধারণা। তারা ৫, ৬ বছর এর বাচ্চা নয় যে তাদের কথা শোনালে অপমান করলে তাতে তারা ভয় পেয়ে গিয়ে সঠিক পথে চলে আসবে। বরং এসবের ফলে তাদের রাগ-ক্ষোভ বেড়ে যায়, তাকে আদৌ তার ভালোর জন্য বলা হচ্ছে কি-না তা বুঝতে চেষ্টা করে না। আরও বেশি জেদ বাড়ে এবং নিজের আত্মসম্মানবোধে লেগে যায় অল্পতেই। ফলাফলস্বরূপ আরও বেশি (Sensitive) ও হতাশ হয়ে যায় এবং নিজের আবেগ-অনুভূতি(Emotions ) এর উপর আয়ত্ত্ব করতে না পেরে করে ফেলতে পারে আরও একটি ভুল কাজ। এবং পর্যাপ্ত নির্দেশনার অভাবে প্রতিনিয়ত নিজের হতাশ অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে এবং ব্যাপারটি এমনভাবে হতাশ হতে হতে এমন এক পর্যায়ে এসে হাজির হয়ে কিশোরটি মাদকাসক্ত, ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা (Suicide Attempt) পর্যন্ত পৌঁছে যায় নির্দ্বিধায় !
একাকিত্ব বোধ থেকেও সৃষ্টি হতে পারে জটিল মানসিক অস্থিরতা, বা নিজের প্রতি মনস্তাপ-বিরক্তি। অনেকে কৈশোরে স্বাভাবিক বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মিশতে চেয়েও পারে না তাদের মতো করে চলতে বা সামাজিকভাবে নিজেকে মানিয়ে আচরণ, আলোচনা বা অনুশীলন করা। তখন তার সাথে কথা-বার্তা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে এরকম কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না স্কুলে। আবার এদিকে বাবা-মা ও পর্যাপ্ত সময় দেয় না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। উদাহরণস্বরূপ, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বাবা-মা উভয়ই চাকরিরত থাকে এবং বাসায় একটি ভাইবোনহীন কিশোর/কিশোরী একা তার এ সময়টি পার করতে থাকে ফলে পরিবারের সদস্যদের সাথে খুব একটা সময় কাটানো হয় না। । এক্ষেত্রে তার সাথে মন খুলে কথা-বার্তা অথবা কোনো জিনিস নিয়ে আলোচনা করার সময়ও হয়ে উঠে না অনেক বাবা-মার।
স্কুলে কারো সঙ্গ না পেয়ে এবং পিতা-মাতার সাধারণ সান্নিধ্য পর্যন্ত লাভ করতে না পেরে একাকিত্বের প্রবল কষ্টের স্রোতের কাছে নিজেকে সামলাতে পারে না। নিজের মধ্যেই কষ্ট-রাগ চেপে মানসিক প্রশান্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হতে থাকে। এবং ক্রমেই কৈশোর জীবনের বাধা-বিপত্তি কোনো কিছুই কম এসে দাঁড়ায় না তার দরজায়। ক্রমশ হতাশার বোঝা বাড়তেই থাকে এবং চরম বিষাদ অসহায় কিশোর/কিশোরী স্বাভাবিক বুদ্ধি-জ্ঞান বিলুপ্তি শেষে ভয়ংকর ও বিপদজনক পথ বেছে নিতে পারে।
আবার পরিবারের সঙ্গ না পাওয়া অথবা বাবা-মার সঠিক পরামর্শ না পেয়েও অনেকে নিজ থেকে বিভিন্ন হতাশা নামিয়ে আনার পথ খুঁজে পায়। সেই পথগুলো বিভিন্নরকম হতে পারে বন্ধুবান্ধবের সাথে মেলামেশার অভ্যাস পরিবর্তন, সঠিক বন্ধুটি খুঁজে পাওয়া, অপরিপক্ক মস্তিষ্কে অযৌক্তিক চিন্তাভাবনা ইত্যাদি। সে আসলে বোঝেও বোঝে না যে হতাশা তার চারদিক দিয়ে ঘিরে আসছে। অনায়াসে এক অজানা কঠিন সময় পারি দেয় কিশোর/কিশোরীটি। হতাশার সেই দরজার আড়ালে একবার পৌঁছে গেলে আর নিজে থেকে ফিরে আশার পথ খুঁজে পাওয়াটাও এত সহজ না। কেননা, এসময় সঠিক চিন্তাশক্তি সচল থাকে না, কোনোকিছু বুঝে উঠতে পারে না।
কিশোরকালের সময়টি অত্যন্ত কঠিন হতে পারে এবং হতাশা কিশোর কিশোরীদেরকে সাধারণ প্রাপ্তবয়স্কদের অনেকের চেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। প্রকৃতপক্ষে, এটি অনুমান করা হয় যে প্রতিটি স্তরের পাঁচটি কিশোর-কিশোরীর মধ্যে একজন কিশোর বয়সে এক পর্যায়ে হতাশায় ভুগবেই। বেশিরভাগ হতাশ কিশোরীরা কখনই সহায়তা পায় না। কেননা বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় বাবা মা,ভাই-বোন বা পরিবারের সদস্যদের কেউ হতাশাগ্রস্ত কিশোর/কিশোরীর সমস্যা শোনার বা সমাধান করার চেষ্টা করেন না। এক্ষেত্রে, সেই কিশোর/কিশোরীটি সব উপেক্ষা করে নিজে যা ভালো বুঝে তাই করতে থাকে, ফলাফল হিসেবে সে বেছে নিতে পারে এমন একটি পথ যা কখনোই উচিত নয়। প্রাক্তন ভাল ছাত্রের খারাপ উপস্থিতি, গ্রেডের হ্রাস বা বিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ডে হতাশার কারণ হতে পারে। অনেক হতাশ কিশোর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বা পালানোর কথা বলে। এই ধরনের প্রচেষ্টা সাধারণত সাহায্যের জন্য হাহাকার। মাদক ও অ্যালকোহলের অপব্যবহার। কিশোরীরা তাদের হতাশাকে মোকাবিলা
করার চেষ্টায় অ্যালকোহল বা ড্রাগ ব্যবহার করতে পারে। দুর্ভাগ্যক্রমে, পদার্থের অপব্যবহার কেবল জিনিসগুলিকে আরও খারাপ করে। এটি চিকিৎসাযোগ্য, পিতামাতার সাহায্য, ভালোবাসা, দিকনির্দেশনা এবং সমর্থন আপনার কিশোরকে হতাশা কাটিয়ে উঠতে এবং তাদের জীবনকে আবারো পথে ফিরিয়ে আনতে সহায়তার দিকে এগিয়ে যেতে পারে। এখন জীবন যতটা হতাশ বলে মনে হোক না কেন, সঠিকভাবে যদি সময়টিকে উপভোগ করা যায় তবে
দেখা যায় জীবনটা কতো সুন্দর!
হতাশ কিশোর-কিশোরীরা মাতাল, প্রতিকূল, সহজে হতাশ, রাগান্বিত ও আক্রমণ প্রবণ হতে পারে। অব্যক্ত বেদনা ও ব্যথায় অচেতন থাকতে পারে। হতাশ কিশোরেরা প্রায়শই শারীরিক অসুস্থতা যেমন মাথাব্যথা বা স্টোম্যাকআ্য্যক সম্পর্কে অভিযোগ করে। যদি একটি সম্পূর্ণ শারীরিক পরীক্ষার পর কোনও ধরনের চিকিৎসার কারণ প্রকাশ না করে তবে এই ব্যথা হতাশাকে নির্দেশ করতে পারে। কৈশোরের হতাশা মেজাজের বাইরে। এটি একটি গুরুতর সমস্যা যা একটি কিশোর জীবনের প্রতিটি দিককে প্রভাবিত করে।
সমালোচনার প্রতি চরম সংবেদনশীলতা নিয়ে হতাশ কিশোররা অযোগ্যদের অনুভূতিতে জর্জরিত হয়। তাদের সমালোচনা, প্রত্যাখ্যান এবং ব্যর্থতার পক্ষে চরম দুর্বল করে তোলে। এটি ‘অতিরিক্ত অর্জনকারীদের জন্য একটি বিশেষ সমস্যা।
মেজাজ পরিবর্তন করতে, আরও ভালো বোধ করা শুরু করতে অনেককিছুই করতে পারে যেমন কিশোর হতাশার ডিলিং পড়া, মাঝেমধ্যে কৈশোরের বছরগুলিতে প্রত্যাশিত হওয়া। কিশোর-কিশোরীর হতাশার নেতিবাচক প্রভাবগুলি অস্বচ্ছ মেজাজের বাইরে চলে যায়। হতাশা একটি কিশোরের ব্যক্তিত্বের সারাংশকে ধ্বংস করতে পারে, যার ফলে প্রচণ্ড দুঃখ, হতাশা বা ক্রোধের সৃষ্টি হয়। কিশোর-কিশোরীদের অনেক বিদ্রোহী এবং অস্বাস্থ্যকর আচরণ বা মনোভাব হতাশার ইঙ্গিত হতে পারে। কৈশোরে তাদের মানসিক যন্ত্রণা মোকাবিলার প্রয়াসে ‘আচরণ’ করার জন্য পরিবারের সদস্যদের এবং বন্ধুদের সাথে একটি উচ্ছল মেয় জীবনযাত্রা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হতাশা কুৎসিততা, লজ্জা, ব্যর্থতা এবং অযৌক্তিকতার অনুভূতিগুলিকে ট্রিগার এবং তীব্র করতে পারে। কিশোরীরা তাদের সমস্যা থেকে বাঁচতে অনলাইনে যেতে পারে, তবে অতিরিক্ত স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার কেবল তাদের বিচ্ছিন্নতা বাড়িয়ে তোলে না, তাদের আরও হতাশায় পরিণত করে। বেপরোয়া আচরণ-হতাশ কিশোরীরা বিপজ্জনক বা উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ আচরণে জড়িত হতে পারে, যেমন বেপরোয়া গাড়ি চালানো, দানবালিকা পানীয় এবং অনিরাপদ যৌনতার মতো।
কিছু হতাশ কিশোর- সাধারণত ছেলেরা যারা বুলিংয়ের শিকার হয় তারা আক্রমণাত্মক এবং হিংস্র হয়ে উঠতে পারে।
আবার এদিকে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে কৈশোরকালীন প্রেম (Immature love) থেকে। কিশোর বয়স প্রেমে পড়ার সঠিক বয়স নয়। তাই পিতামাতারা সর্বদা প্রেম বিষয়ের চেয়ে বাচ্চাদের তাদের ভবিষ্যতের দিকে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। কিশোর-কিশোরীদের নিজেদের প্রেমের সম্পর্কের জন্য যতদূর সম্ভব তাদের আবেগ এবং চিন্তাভাবনাগুলি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা উচিত। কিশোর প্রেম এত নিবিড় কেন? প্রেমে পড়ে যাওয়া যে কোনও বয়সে মানসিক উত্থানযাত্রা, তবে কিশোর-কিশোরীদের জন্য অনুভূতিগুলি পরিচালনা করা আরও কঠিন হতে পারে। মস্তিষ্ক এবং দেহের বিকাশের দ্বারা উদ্ভূত হরমোনীয় পরিবর্তনগুলি প্রেমে পড়ার তীব্র অনুভূতিতে জড়িত। সম্পর্কের অংশটি কিশোর-কিশোরীদের জন্য আরও তীব্র হতে পারে কারণ অন্যরা তাদের সম্পর্কে যা ভাবছে সে সম্পর্কে তারা অত্যন্ত আগ্রহী এবং অভিজ্ঞতা থেকে আসা তাদের বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি নেই। এসময়ের আবেগ-টান বেশি থাকে বলে নিজের সিদ্ধান্তের প্রতি অটল থাকে কিশোররা, যার ফলে কোনো সমস্যা হলে বা অতিরিক্ত আবেগের বশে যে কোনো কিছু করে বসতে পারে তারা। তাই এ বিষয়ে সর্বদা সব জায়গায় ‘না’ লিখা থাকে কিন্তু সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে না বলে, কেবল (Blame) নিন্দা-শাসন না করতে থাকলে গভীরতর ডিপ্রেশন ডেসপায়ার সৃষ্টি হতে থাকে।
একটি কিশোর/কিশোরী হতাশাগুলি থেকে এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে যা অনিরাপদ মেডিসিন খাওয়ার ব্যাধি এবং আত্ম-আঘাত সহ আরও অনেক মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সাথে জড়িত। ডিপ্রেশন কিশোরের জন্য প্রচণ্ড বড় ঝুঁকি বয়ে আনে এতে প্রতিদিনের পারিবারিক ও সামাজিক জীবন ব্যাহত করতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে এক্ষেত্রে পৃথক হয়ে থাকে কৈশরকালীন ব্যক্তিরা। প্রাপ্তবয়স্কদের নিজেদের সহায়তার সক্ষমতা রয়েছে, কিন্তু কিশোর-কিশোরীরা তাদের কষ্টগুলি সনাক্ত করতে এবং তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা পেতে তাদের পিতামাতা, শিক্ষক বা অন্যান্য যত্নশীলদের উপর নির্ভর করে। তবে এটি সর্বদা সহজ নয়। একটির জন্য, হতাশায় আক্রান্ত কিশোরীরা অবশ্যই দুঃখিত দেখা দেয় না। পরিবর্তে, বিরক্তি, ক্রোধ এবং উত্তেজনা সর্বাধিক বিশিষ্ট লক্ষণ হতে পারে।
কিশোর অবসাদের কিছু লক্ষণ হলো- দুঃখ বা নিরাশতা, বিরক্তি, ক্রোধ বা শত্রুতা, অশ্রু বা ঘন ঘন কান্না, বন্ধুবান্ধব ও পরিবার থেকে প্রত্যাহার, কর্মকাণ্ডে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা, স্কুলের পারফরম্যান্স অবনতির হতে থাকা, খাওয়া ও ঘুমের অভ্যাসের পরিবর্তন, অস্থিরতা এবং আন্দোলন, অযোগ্যতা ও অপরাধবোধের অনুভূতি, উৎসাহ এবং প্রেরণার অভাব, ক্লান্তি বা শক্তির অভাব, মনোযোগ কেন্দ্রীকরণ, অব্যক্ত বেদনা ও ব্যথা, মৃত্যু বা আত্মহত্যার চিন্তাভাবনা ইত্যাদি। কৈশোরবস্থায় হতাশাগুলি প্রাপ্তবয়স্কদের হতাশার চেয়ে আলাদা দেখা যায়। যেমন- খিটখিটে বা রাগান্বিত মেজাজ। এই উপসর্গটি প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। যেমনটি উল্লেখ করা হয়েছে, ‘দুঃখের পরিবর্তে বিরক্তি প্রায়শই হতাশ কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে মুখ্য
মনোভাব।
কিশোর বছরগুলি সমস্ত সংশ্লিষ্টদের জন্য আবেগঘন আক্রমণাত্মক কোর্স হতে পারে। আমাদের মধ্যে অনেকেই এটি এত কঠিন বলে মনে করার অন্যতম কারণ এটি দ্রুত শারীরিক বিকাশ, অনস্বীকার্য আবেগ এবং গভীর সংবেদনশীল পরিবর্তনের সময়। এগুলি উত্তেজনাপূর্ণ, তবে শিশু এবং পিতা-মাতার পক্ষেও বিভ্রান্তিকর এবং অস্বস্তিকর হতে পারে।
কিশোর বয়সকালের সমস্যাগুলি কাটিয়ে একটি সুখী, সুষম, সুসমাচার প্রাপ্ত তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠতে সহায়তা দরকার কাছের মানুষজনের, বন্ধু-বান্ধবের ও সঠিক দিকনির্দেশনার। পিতামাতার বা একজন কাছের কারো সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে বুঝিয়ে তার সমস্যার কথা শুনে, ভালোবাসা, দিকনির্দেশনা এবং সমর্থন দিয়ে মানসিক বিভ্রান্তি, অবসাদ ও হতাশা সব কাটিয়ে কৈশোর নামক জীবনের কঠিন সেতুটিকে সহজ জীবনে খাপ খায়িয়ে নেয়ার পথ দেখিয়ে ও শিখিয়ে দেবে।
কৈশোরের হতাশা কাটিয়ে উঠতে এবং জীবনকে আবারো পথে এগিয়ে নিতে সময় থাকতে বুঝতে শিখো, চলতে শিখো। তবেই তুমি চিনে যাবে কঠিন সেতুর ক্রসিং রহস্য। তো আজকে এই পর্যন্তই । মানুষ মাত্রই ভুল হয় । তাই ভুল হলে ক্ষমা করে দিয়েন । আশা করি পোস্টটি সবার ভালো লেগেছে । কোনো কিছু না বুঝতে পারলে কমেন্টে জানান । আপনি চাইলে এই লিংক এ ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে join করতে পারেন । আর যেকোনো প্রয়োজনে ফেসবুকে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন ।
The post নিয়ে নিন একটি চমৎকার motivational story । appeared first on Trickbd.com.
from Trickbd.com https://ift.tt/Zv0VDhy
via IFTTT
No comments:
Post a Comment