• এসএসসি রেজাল্ট ২০১৯ । নাম্বার সহ এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষার ফলাফল ২০১৯Breaking News

    Friday, June 2, 2023

    New

    KYC কি?

    KYC (Know Your Customer/Client) হল কোনো কোম্পানীর তার গ্রাহককে ভেরিফাই করার একটা প্রসেস।

    বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যেখানে অর্থসংক্রান্ত লেনদেন হয় সেখানে KYC একটা কোম্পানীর বৈধতা, সাথে কোম্পানীর ইউজারবেসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটি সাধারন মাপকাঠি।

     

    KYC ভেরিফাই করতে কি কি লাগে?

    KYC কয়েক প্রকার হয়ঃ

    • ID verification
    • Biometric verification
    • Address verification
    • Digital ID verification
    • Financial verification

     

    ID verification

    আইডি ভেরিফিকেশনে নাম, ঠিকানা, ছবি, জন্মতারিখ, রক্তের গ্রুপ, পেশা, ক্রিমিনাল রেকর্ড (কিছু ক্ষেত্রে), অতীত ও বর্তমান কর্মক্ষেত্র ইত্যাদি লাগে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই এসব তথ্য দিয়ে ভেরিফাই করে। নিচের যেকোনোটি দিয়ে এই ভেরিফিকেশন করা যায় –

    • NID
    • Passport
    • Driving license
    • Social security card (for America)

     

    Biometric verification

    kyc biometric

    বায়োমেট্রিক মানে ত বুঝেনই। হাত পায়ের ছাপ, চোখের ছাপ, মুখের ছাপ – যতরকমের ছাপ আছে আর কি। কিছু ক্ষেত্রে রক্তের গ্রুপও চেক করতে পারে।

    মানে আপনি যদি প্লাস্টিক সার্জারিও করে ফেলেন তাও যাতে আপনাকে ধরতে পারে 🎃

    ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় বায়োমেট্রিক ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

     

    Address verification

    Address verification বলতে tax receipt, electricity bill, telephone bill, bank account statement এসব বুঝায়। ৬ মাস, ৩ মাস বা ১ মাস পুরাতন বিলের কাগজ দিয়ে ভেরিফাই সম্পন্ন করতে হয়। আপনি যে একটা অঞ্চলের বৈধ বাসিন্দা সেটা এর মাধ্যমে জানা যায়।

    টিন সার্টিফিকেট কি এবং কিভাবে তৈরী করবো? [Don’t Miss]

     

    Digital ID verification

    seon kyc firm

    এক্ষেত্রে অনলাইনে কেবল দরকারী তথ্য সাবমিট করলেই হয়। যেমন পাসপোর্ট/ লাইসেন্সের ছবি তুলে, তারপর ফোনে আপনার একটা সেলফি তুলে তাদেরকে পাঠানো। এটা AI ও মেশিন লার্নিং টেক ইউজ করে আপনার একটা ডিজিটাল আইডি তৈরি করে তাদের ডাটাবেসে জমা রাখে।

    এমন ভেরিফিকেশন টাইপ অনেক জনপ্রিয় কারন এতে সময়, শ্রম কম লাগে। আর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা সব কোম্পানি চাইলেও সবাইকে স্বশরীরে যাচাই করার ক্ষমতা রাখে না।

    একে অনেকসময় eKYC বলা হয়।

     

    Financial verification

    ব্যক্তির আর্থিক অবস্থা কি, ব্যাংক লেনদেন কেমন, কতটুকু সম্পদ আছে, সম্পত্তির সাথে অর্থের সামঞ্জস্য কতটুক এসব বিবেচনা করা হয় এখানে।

    বড়মাপের কোনো পর্যায়ে না থাকলে আপনার আমার এটা নিয়ে না ভাবলেও চলবে 🙂

     

    কারা KYC করতে বলে?

    গুরুত্বপূর্ন আর্থিক লেনদেন যা গ্রাহকের পর্যাপ্ত পরিচিতি ব্যতীত প্রক্রিয়াজাত করা অনুচিত – এমন প্রতিষ্ঠানরা। এছাড়াও –

    • ঋণ নেয়া
    • বীমা করা
    • টেলিযোগাযোগ
    • বিনিয়োগ সংস্থা
    • অনলাইনে জুয়া, কেসিনো
    • সরকারী-বেসরকারী নানা কাজকর্ম

    ট্রিকবিডির ইউজাররা তো Binance, Coinbase, বিভিন্ন এয়ারড্রপের কল্যাণে ডিজিটাল আইডি ভেরিফিকেশনের সাথে ভালোই পরিচিত আছেন। এই যে, একজন যেন ১০ টা অ্যাকাউন্ট খুলে এক এয়ারড্রপ বার বার নিতে না পারে, সেইজন্য এই ব্যবস্থা।

     

    কেন তারা KYC করে?

    KYC একটা সিস্টেমে spam, fraud, hacking, laundering এসব রোধ করে। এখানে আমাদেরও একটা সুবিধা আছে।

    যদি কেউ KYC করতে বলে তার মানে এটা ভালো ইঙ্গিত যে কোম্পানিটা তাদের বিজনেস নিয়ে সিরিয়াস। তারা কাস্টমারের সাথে ভালোভাবেই ব্যবসা করতে চায় ও যথাযথ মূল্যায়ন দিতে আগ্রহী।

     

    গুরুত্ব কতটুকু?

    KYC হল পরিচিতি শনাক্তের একটা নূন্যতম পন্থা।

    ধান্দাবাজি, প্রতারণা, কর জালিয়াতি, ট্যাক্স ফাঁকি, অর্থপাচার ইত্যাদি রোধ করতে KYC ভূমিকা রাখে। ডিজিটাল যুগে এই কথা আরো বেশি সত্যি।

    যেহেতু KYC একজনের পরিচয় প্রতিষ্ঠানে জমা রাখে, তাই সহজেই কেউ জালিয়াতি করতে পারে না। করলেও তাকে ধরা সহজ হয়।

    এটা আবার আমরা গ্রাহকদের জন্যও জরুরি। যেহেতু এটা দিয়ে প্রমাণিত হয় যে এটা আপনিই, তাই অন্য কেউ চাইলে আপনার পরিচয় ব্যবহার করে ক্রাইম করতে পারে না, যা identity theft নামেও পরিচিত।

     

    কিভাবে তারা আমার ডাটা প্রসেস করে?

    কেউ যদি লোকজনের NID, পাসপোর্টের মত সংবেদনশীল তথ্য নিরাপত্তার সহিত পরিচালনা করতে না পারে তো ওগুলো হ্যাকিংয়ের শিকার হলে আরো হিতে বিপরীত হতে পারে।

    ইতিহাস ঘাটলে দেখবেন এমন ঘটনা আছেও! একারনে আমরা মাঝেমধ্যে KYC করতে আগ্রহী হয় নাহ।

    তবে অবশ্যই এরকম একটা প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন নিরাপত্তা বলয় পার করতে হয়। বাইরের বিভিন্ন সিকিউরিটি ফার্ম দিয়ে অডিট করে, বার বার টেস্টিং করে, নতুন টেকনোলজিতে ইনভেস্ট করে তারা নিরাপত্তা বজায় রাখে।

    অনেক দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে KYC করতে + সেগুলো নিয়মিত আপডেট রাখতে আইনও আছে।

     

    এত ঝামেলা! KYC সেটাপ করে দেয়ার জন্য কোনো ফার্ম নাই?

    ভালো প্রশ্ন।

    এখন কেউই আসলে নিজে এসব করার ঝামেলা নেয় না। তারা একটা সফটওয়্যার ফার্মে দায়িত্ব দিয়ে দেয়, ওরা সব ম্যানেজ করে। যেহেতু ফার্মগুলো এসবে বিশেষজ্ঞ, তাই তারা গ্রাহকের নিরাপত্তাও ভালো নিশ্চিত করে।

    টপ কিছু KYC solutions –

     

    তাও যদি আমি ধান্দাবাজি করি?

    একটা সিস্টেম বাইপাস করা কঠিন।

    KYC মানে আপনাকে অন্য একজনের আইডেন্টিটি দেখাতে হবে। অনেকে ফ্যামিলি মেম্বারদের NID দিয়ে একাধিক KYC করে, যদি জেনে বুঝে করতে পারেন তাহলে ত ভালোই।

    তবে IP address, mac address, location, cookies, system identifier, আপনার ডাটা তারা সেভ রাখে। তাদের মনে সন্দেহ হলে reverify request করতে পারে।

    একটা কোম্পানী KYC verify করছে মানে তারা এখানে সিরিয়াস। শুধু লোক দেখানোর জন্য করছে না। তাদের সিস্টেমে ধান্দাবাজির প্রবণতা আছে দেখেই তারা স্টেপ নিয়েছে।

    আপনি যদি জানেন যে আপনি কি করছেন, বুঝেন যে কোথায় কিভাবে কি করলে একাধিক KYC করা যাবে – Good for you 👍

     

    Happy KYC 🤖

    The post কেন KYC একটি ভালো মাপকাঠি। KYC সম্পর্কিত সকল প্রশ্নোত্তর এক পোস্টে appeared first on Trickbd.com.



    from Trickbd.com https://ift.tt/iRIdwzt
    via IFTTT

    No comments:

    Post a Comment

    Fashion

    Beauty

    Travel