• এসএসসি রেজাল্ট ২০১৯ । নাম্বার সহ এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষার ফলাফল ২০১৯Breaking News

    Saturday, February 1, 2025

    New

    ওয়েবসাইট কি? ওয়েবসাইটের কাজ ও প্রকারভেদ:

    আপনার মনে এমন প্রশ্ন আসতে পারে যে, ইন্টারনেটের বিশাল জগতে আমরা যে সমস্ত তথ্য খুঁজি সেগুলো কোথা থেকে আসে? এরকম একটি প্রশ্ন সবার মনের মধ্যে রয়েছে। মূলত আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকেই তথ্য জানতে পারি। কিন্তু বর্তমান যুগে আমাদের জীবনে ওয়েবসাইট অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। আজকে এই ব্লগে ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে পারব। ওয়েবসাইট কাকে বলে? ওয়েবসাইট কিভাবে কাজ করে? চলুন জেনে নিই।

    ওয়েবসাইট কি? ওয়েবসাইট কাকে বলে?

    ওয়েবসাইট হলো আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। মূলত একটি ওয়েবসাইট অনেকগুলো ওয়েব পেজের সমষ্টি। এই পেজগুলোতে একটি বিশেষ ভাষায় লেখা হয়, সেটি HTML নামক ভাষা দিয়ে। আপনি যদি কোনো ওয়েবসাইটের ঠিকানা বা URL লিখে এন্টার চাপেন, এরপরে আপনার কম্পিউটারটি একটি সার্ভারে অনুরোধ পাঠায়। এবং ওই সার্ভারে ওয়েবসাইটের সমস্ত ফাইল জমা থাকে। সার্ভারটি আপনার সার্চ অনুযায়ী পেজটি খুঁজে দেয়। অর্থাৎ আপনি যেটা সার্চ করেছেন সেটি খুঁজে বের করে দিবে এবং আপনার কম্পিউটারে পাঠিয়ে দিবে। ঠিক যেমনটি আপনি আমার এই পোস্টটি দেখছেন।

    ওয়েবসাইট কিভাবে কাজ করে?

    আপনি যখন আপনার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন চ্যাট করেন বা কথা বলেন, অথবা ইন্টারনেটে কোনো তথ্য সার্চ করে খুঁজছেন, বা অনলাইনে কোনো পণ্য কিনছেন তখনই আপনি ইন্টারনেটে বিশাল একটি জালের ছোট অংশে প্রবেশ করছেন। এবং ওয়েবসাইট হলো এই জালটির প্রতিটি নোড। কিন্তু ওয়েবসাইট কিভাবে কাজ করে তা আমরা জানি না। চলুন এই সম্পর্কে জেনে নিই।

    ডোমেইন নাম:

    একটি রেস্টুরেন্টকে আমরা যে কোনো একটি ওয়েবসাইট হিসেবে তুলনা করতে পারি। এবং রেস্টুরেন্টের ঠিকানা হলো ডোমেইন নাম। অর্থাৎ আপনি যখন এই রেস্টুরেন্টটি গুগলে সার্চ করবেন তখন এই ঠিকানাটি চলে আসবে। এই ঠিকানাটি ইন্টারনেট ভাষায় লেখা। এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি সহজে সেই রেস্টুরেন্টটিতে চলে যেতে পারবেন।

    ডোমেইনের কাজ:

    ১. IP অ্যাড্রেস: প্রতিটি কম্পিউটারের আলাদা পরিচয় থাকে। এটাকেই আইপি অ্যাড্রেস বলে। যেমন আপনার বাড়ির ঠিকানা অন্য জনের সাথে মিলবে না, ঠিক তেমনি আপনার কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেসও অন্য কারোর সাথে মিলবে না।

    ২. DNS: DNS (ডোমেইন নেম সিস্টেম) কে বলা হয়। ডোমেইন নামটি আইপি অ্যাড্রেসের সাথে সংযোগ রয়েছে। যখন আপনি ডোমেইন নাম সার্চ দিবেন, ডোমেইন নামের সাথে যত আইপি অ্যাড্রেস মিলিত আছে সব খুঁজে বের করে দিবে।

    ৩. সার্ভার: অ্যাড্রেস খুঁজে পাওয়ার পূর্বে আপনার ব্রাউজারটি সেই সার্ভারটিতে অনুরোধ পাঠাবে। এবং ওয়েবসাইটের সব তথ্য গুলো সংরক্ষিত থাকে।

    ৪. ব্রাউজার: সার্ভার থেকে তথ্য পেয়ে ব্রাউজার সেগুলোকে একটি সুন্দর ডিজাইন যুক্ত পেজে রূপান্তর করে আপনাদের চোখের সামনে।

    ওয়েব পেজ:

    ওয়েব পেজ হলো ওয়েবসাইটের একটি নির্দিষ্ট অংশ। এটি এমন একটি জায়গা যেখানে আপনি পৃথিবীর সব তথ্য সহজে খুঁজে নিতে পারবেন। যেমন আপনি যদি নিউজ দেখেন, তাহলে আপনি খুব সহজে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুঁজে নিতে পারবেন। শুধু খবর নয়, বিভিন্ন তথ্যও পাবেন। অর্থাৎ প্রতিটি ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেজে বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট থাকে।

    ওয়েব পেজের কাজ:

    HTML: HTML (HyperText Markup Language) হলো ওয়েব পেজ তৈরি করার জন্য মূল ভাষা। ওয়েব ডিজাইনাররা পেজের বিভিন্ন উপাদানকে ভাষার মাধ্যমে সাজিয়ে তোলে।

    CSS: ওয়েব পেজটি সুন্দর করে সাজানো হয় CSS (Cascading Style Sheets) ব্যবহার করে। এটির মাধ্যমে এই ওয়েব পেজটি পরিবর্তন হয় যেমন ফন্ট, রং, ব্যাকগ্রাউন্ড ইত্যাদি।

    JavaScript: ওয়েব পেজটি ইন্টারেক্টিভ করা হয় JavaScript ব্যবহার করে। এটির মাধ্যমে পেজে বিভিন্ন ধরনের উপাদান যোগ করা হয় যেমন অ্যানিমেশন, ইফেক্ট এবং ইন্টারেক্টিভ।

    কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS):

    বর্তমানে CMS অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট পরিচালনা করতে সাহায্য করবে CMS সফটওয়্যারটি। যেমন আপনার ঘরের সাজসজ্জা আপনি নিজেই করেন, তেমনি আপনার ওয়েবসাইটের সাজসজ্জা CMS আপনাকে সুযোগ করে দিবে।

    CMS কেন প্রয়োজন?

    সহজ ব্যবহার: CMS ব্যবহার করা অনেক সহজ। আপনাকে তেমন কিছু লিখতে হবে না। আপনি যদি কম্পিউটার ব্যবহার করতে জানেন, CMS কাজটি আপনার কাছে খুব সহজ হয়ে যাবে।

    সময় বাঁচায়: ওয়েবসাইটের কনটেন্ট পরিবর্তন করতে আপনার খুব বেশি সময় প্রয়োজন হবে না।

    ডিজাইন: আপনি আপনার ওয়েবসাইট যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ডিজাইন করতে পারবেন।

    সুরক্ষা: আপনার ওয়েবসাইট হ্যাকারদের হাত থেকে সুরক্ষা করবে CMS।

    কিছু জনপ্রিয় CMS:

    • Shopify
    • Blogger
    • Joomla
    • Wix
    • Drupal
    • WooCommerce
    • WordPress.org

    ওয়েবসাইট কত প্রকার ও কি কি?

    আপনি হয়তো জানেন না ওয়েবসাইট কত প্রকার। ওয়েবসাইট মূলত ২ প্রকার যথা: ১. স্ট্যাটিক ও ২. ডাইনামিক। কিন্তু এই ২ ধরনের ওয়েবসাইটে অনেক পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু আপনি উপযুক্ত হিসেবে কোনটি বেছে নেবেন এবং আপনার জন্য কোনটি উপযুক্ত হবে তা শুধুমাত্র নির্ভর করবে আপনার ওয়েবসাইটের লক্ষ্য এবং প্রয়োজনীয়তার উপরে।

    ০১-স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট:

    স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটকে আমরা পোস্টারের মতোই তুলনা করতে পারি। এটি পরিবর্তন করা যায় না। পোস্টার যেমন তৈরি করা হলে পরিবর্তন করা যায় না, তেমনি স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের তথ্য গুলো তৈরি করা হলে পরিবর্তন করা যায় না। এটি HTML, CSS এবং JavaScript দিয়ে তৈরি করা হয়।

    ০২-ডাইনামিক ওয়েবসাইট:

    ডাইনামিক ওয়েবসাইটটি একটি বইয়ের মতোই। বইয়ের মধ্যে যেমন তথ্য জানা যায়, ডাইনামিক ওয়েবসাইটেও আপনি তেমনি তথ্য পাবেন। আবার ডাইনামিক ওয়েবসাইটটি ইনপুটের উপর ভিত্তি করে তথ্য পরিবর্তন করতে হয়। ডাইনামিক ওয়েবসাইটটি একটি ডাটাবেজ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এটি সার্ভার-সাইড স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন Ruby, Python, PHP দিয়ে তৈরি করা হয়।

    ওয়েবসাইটের ধরন:

    আপনি যে কোনো ওয়েবসাইট আপনার ইচ্ছে মতো তৈরি করতে পারবেন। আপনি চাইলে নিজের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন, আবার আপনি চাইলে ই-কমার্স ওয়েবসাইটও তৈরি করতে পারেন। যদি আপনি পণ্য বিক্রি করতে চান তাহলে।

    যোগাযোগের ক্ষেত্রে আপনি চাইলে সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। ওয়েবসাইটের অনেক ধরন রয়েছে যা হলো:

    ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট: আপনি নিজের ব্যক্তিগত পরিচয় বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারবেন। আপনি আপনার অভিজ্ঞতা, শখ, পোর্টফোলিও এবং ব্লগও করতে পারবেন। এটি একটি ডিজিটাল পোস্টার হিসেবে কাজ করবে।

    ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট: কোম্পানির জন্য যদি ওয়েবসাইট তৈরি করে তাহলে সেটি অনলাইন দোকানের মতোই। যেখানে পণ্য বিক্রি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয় এবং গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করা হয়।

    ই-কমার্স ওয়েবসাইট: ই-কমার্স ওয়েবসাইট পণ্য বিক্রি করার জন্য উপযুক্ত হবে। যেখানে আপনি আপনার পণ্য গুলো অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে সহজেই বিক্রি করতে পারবেন।

    ব্লগ ওয়েবসাইট: যদি আপনার নিজের জ্ঞান, মতামত, তথ্য, অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করার ইচ্ছে থাকে, তাহলে আপনি ব্লগ ওয়েবসাইট বেছে নিতে পারেন। ব্লগের মাধ্যমে আপনি সবার সাথে শেয়ার করতে পারবেন।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম: টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এগুলো হলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। আপনি এরকম সোশ্যাল মিডিয়া তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ করতে পারবেন।

    পোর্টাল ওয়েবসাইট: এই ওয়েবসাইটে আপনি অনলাইন শপিং করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি এই ওয়েবসাইটে খবর, আবহাওয়া, স্পোর্টস, ভ্রমণ এসব তথ্যও পাবেন।

    সরকারি ওয়েবসাইট: এই ওয়েবসাইটে শুধুমাত্র সরকারি কাজকর্মের জন্য ব্যবহার করা হয়। আবার এখানে সরকারি নিয়মকানুন, সেবা, ফর্ম ইত্যাদি সংগ্রহ করতে পারবেন।

    ওয়েবসাইটের কাজ কি? ওয়েবসাইট কেন দরকার?

    ওয়েবসাইট প্রতিটি ব্যবসার জন্য অপরিহার্য একটি সরঞ্জাম। আপনার ব্যবসাকে শক্তিশালী এবং ব্র্যান্ড করতে ওয়েবসাইট গুরুত্বপূর্ণ। এই ওয়েবসাইট গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করবে, প্রসার করতে সাহায্য করবে আপনার ব্যবসায়। এবং এই ওয়েবসাইট আপনার বিভিন্ন কাজে লাগতে পারে। সেগুলো নিচে দেওয়া হল।

    দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি:

    ওয়েবসাইট হলো ব্যবসার একটি অনলাইন মাধ্যম। এখানে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে থাকা গ্রাহকের সাথে আপনি যোগাযোগ করতে পারবেন। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার ব্যবসার আরো উন্নতি হবে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের গ্রাহকের কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন খুব সহজে। এতে আপনার ব্যবসার দৃশ্যমানতা অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে।

    ব্র্যান্ডের পরিচয়:

    প্রতিটি ব্যবসার বিভিন্ন পরিচয় থাকে। আর ওয়েবসাইট আপনার ব্যবসার পরিচয় শক্তিশালী করে তুলে। ওয়েবসাইট আপনার ব্যবসার প্রতিটি কাজে প্রয়োজন হবে। যেমন ডিজাইন, কনটেন্ট এবং ওভারঅল লুক আপনার ব্র্যান্ডের মূল্য এবং মিশনকে প্রতিফলিত করে। আপনার ব্যবসা কী পণ্য নিয়ে এবং এটি কেন সবার থেকে আলাদা এই বার্তাটি গ্রাহকদের কাছে পাঠায় আপনার ওয়েবসাইট।

    বিশ্বাসযোগ্যতার মাপকাঠি:

    বর্তমানে গ্রাহকরা পণ্য কিনার আগে অনলাইনে যাচাই-বাছাই করে দেখেন। এটি সঠিক পণ্য কিনা, এবং পেশাদারভাবে ডিজাইন করা ওয়েবসাইট গ্রাহকের মনে ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা দেয় ও আপনার ব্যবসাটি আরো বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। এবং ওয়েবসাইট গ্রাহকের মনে এই বার্তা দেয়, আপনি আপনার ব্যবসাটিকে গুরুত্ব দেন কিনা এবং গ্রাহকদের সন্তুষ্টির জন্য সর্বদা প্রস্তুত কিনা।

    গ্রাহকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ:

    গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে আপনার ওয়েবসাইট। গ্রাহকরা আপনার সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারে যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ব্লগ চালু করেন, সোশ্যাল মিডিয়া লিঙ্ক যোগ করেন এবং কন্টাক্ট ফর্ম রাখেন তাহলে।

    পণ্য ও পরিষেবা বিক্রয় বৃদ্ধি:

    ওয়েবসাইট আপনাকে গ্রাহকের কাছে পণ্য বিক্রি করার সুবিধা করে দেয়। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের গ্রাহকের কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে অনলাইন স্টোর তৈরি করেন এবং আপনার পণ্যগুলো সেখানে প্রদর্শন করেন তাহলে অনেক গ্রাহকরা এগুলো দেখে আপনার কাছে পণ্য কিনতে আসবে এবং আপনার ব্যবসা আরো বৃদ্ধি হবে।

    তথ্যের ভান্ডার:

    ওয়েবসাইটের মূল কাজই হলো নির্দিষ্ট কোনো ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা। ওয়েবসাইটে আপনার ব্যবসার ইতিহাস এবং আপনার পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন। আপনার দলের সদস্যদের পরিচয় এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রদান করবেন। এতে গ্রাহকরা আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারবে এবং আপনার কাছে পণ্য কিনতে আসবে।

    ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করতে হয়?

    আপনি কি নিজের একটি অনলাইন উপস্থিতি তৈরি করতে চান? অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার কথা ভাবছেন? অথবা আমার ইচ্ছে হচ্ছে ব্লগ লেখা অথবা অনলাইনে কাজ করা ইত্যাদি। বর্তমান যুগে ওয়েবসাইট বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা যারা ব্যবসা করছেন তাদের সবারই একটি করে ওয়েবসাইট রয়েছে।

    ধাপ ১: ধারণা নির্ধারণ

    কোন বিষয়টি নিয়ে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন? কি ধরনের তথ্য শেয়ার করবেন এবং আপনার টার্গেট কি? এই বিষয়গুলো ধারণা থাকতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটে আপনার লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলে আপনি কন্টেন্ট এবং ডিজাইন লক্ষ্যের সাথে মিলিয়ে করতে পারবেন।

    ধাপ ২: ডোমেইন নাম নির্বাচন

    আপনার ব্যবসা বা ব্লগের নামের সাথে মিলে যাওয়া উচিত আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা বা ডোমেইন নামটি। তাহলে সহজে মনে থাকবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের পরিচয় বহন করবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনার যদি একটা কাপড়ের দোকান থাকে, তাহলে আপনার ডোমেইনটির নাম হতে পারে “abstuffshop.com”।

    ধাপ ৩: হোস্টিং কিনুন

    আপনার ওয়েবসাইট ফাইল গুলো ইন্টারনেটে কোথায় সংরক্ষিত হবে, সেই স্থানকে হোস্টিং বলা হয়। আপনি চাইলে বিভিন্ন হোস্টিং প্ল্যান কিনতে পারেন। হোস্টিং প্ল্যান বিভিন্ন ভাবে হতে পারে যেমন ডেডিকেটেড হোস্টিং, শেয়ার্ড হোস্টিং, VPS হোস্টিং ইত্যাদি।

    ধাপ ৪: কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) নির্বাচন

    আপনাকে কোনো কোডিং জ্ঞান ছাড়াই ওয়েবসাইট তৈরি করতে সাহায্য করবে ওয়েবসাইট বিল্ডার বা CMS। এটি হলো একটি সফটওয়্যার। কয়েকটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেমন Squarespace, WordPress, Wix। প্ল্যাটফর্ম গুলোতে থিম এবং প্লাগিন পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটকে নিজের মতো করে কাস্টমাইজ করতে পারবেন থিম ও প্লাগিনের মাধ্যমে।

    ধাপ ৫: ডিজাইন ও কন্টেন্ট তৈরি

    আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ও ডিজাইন আপনার ধারণা মতোই হতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন থিম এবং প্লাগিন ব্যবহার করে।

    ধাপ ৬: সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)

    SEO হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে শীর্ষে দেখানো যায়। আপনি চাইলে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আপনার ওয়েবসাইটকে সহজে খুঁজে পাওয়ার মতো করে গড়ে তুলতে পারেন। মৌলিক SEO কৌশলগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিবিলিটি বাড়াতে পারেন।

    ওয়েবসাইটের সুবিধা ও অসুবিধা:

    ওয়েবসাইটের সুবিধা:
    ১. আপনার ওয়েবসাইট ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে থাকা মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবে।
    ২. আপনার ওয়েবসাইট সবসময় খোলা থাকবে, যার মাধ্যমে যেকোনো সময় ব্যবহারকারীরা আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানতে পারবে।
    ৩. আপনি আপনার ব্যবসার পণ্য ও সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গ্রাহকদের কাছে তুলে ধরতে পারবেন।
    ৪. আপনার পছন্দ অনুযায়ী কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন।
    ৫. ব্যবহারকারীদের আচরণ বিশ্লেষণ করে মার্কেটিং কৌশল পরিবর্তন করতে পারবেন।

    ওয়েবসাইটের অসুবিধা:
    ১. অনলাইন জগতে প্রতিযোগিতা অত্যন্ত তীব্র, তাই আপনার ওয়েবসাইটকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে হবে।
    ২. ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রয়োজন।
    ৩. ওয়েবসাইট তৈরি ও পরিচালনার জন্য প্রচুর ধৈর্য ও সময় দিতে হবে। নিয়মিত পরিচর্যা ও আপডেট প্রয়োজন।
    ৪. ওয়েবসাইট হ্যাকিং, ভাইরাস আক্রমণ ইত্যাদি থেকে রক্ষা করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
    ৫. হোস্টিং, ডোমেইন নাম, ব্রাউজার কমপ্যাটিবিলিটি ইত্যাদি নানা ধরনের টেকনিক্যাল সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
    ৬. সফলতা অর্জন করতে হলে ওয়েবসাইটটি ভালোভাবে পরিচালনা করতে হবে।

    বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর:

    ওয়েবসাইট কাকে বলে এবং কেন প্রয়োজন?
    ওয়েবসাইট সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তারপরও আপনার মনে কিছু প্রশ্ন থাকতে পারে, সেগুলোর মধ্যে কিছু প্রশ্নের উত্তর নিচে দেওয়া হলো।

    ওয়েব পেজ কি?
    ইন্টারনেটের একটি ডকুমেন্টকে ওয়েব পেজ বলা হয়। এই ডকুমেন্টটি হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ (HTML) নামক একটি বিশেষ কোড দিয়ে তৈরি করা হয়। এই কোডের কাজ হলো পৃষ্ঠাটি কেমন দেখাবে এবং কীভাবে কাজ করবে তা নির্ধারণ করা।

    উদাহরণ: যখন আপনি গুগলে কিছু সার্চ করেন এবং কোনো নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে যান, তখন আপনি যে পৃষ্ঠাটি দেখতে পান সেটিই একটি ওয়েব পেজ।

    ওয়েব পোর্টাল কি?
    একাধিক ওয়েবসাইট বা ওয়েবসাইটের সমষ্টিকে ওয়েব পোর্টাল বলা হয়। এখানে বিভিন্ন উৎস থেকে গুরুত্বপূর্ণ লিংক, কন্টেন্ট ও সার্ভিস সংগ্রহ করা থাকে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওয়েব পোর্টালগুলোর মধ্যে উইকিপিডিয়া অন্যতম।

    ওয়েব হোস্টিং কি?
    ওয়েবসাইটের ফাইল ইন্টারনেটে সংরক্ষণ করার স্থানকে ওয়েব হোস্টিং বলে। যখন কেউ আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা (ডোমেইন নাম) ব্রাউজারে টাইপ করে, তখন সেই অনুরোধটি ওয়েব হোস্টিং সার্ভারে যায়। সার্ভার আপনার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে পাঠায়। এভাবেই আপনার ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে সবার কাছে দেখা যায়।

    শেষকথা:
    আশা করি, ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও ওয়েবসাইটের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো সহজভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনার যদি আরও জানার আগ্রহ থাকে, তাহলে “SEO কি” এবং “লোকাল SEO কি” এই বিষয়গুলো সম্পর্কে পড়তে পারেন। আরও তথ্য জানতে আমার টেক ব্লগ ITjanun.com এ  ভিজিট করতে পারেন।

    The post ওয়েবসাইট কি? ওয়েবসাইট এর কাজ ও প্রকারভেদ (All about website) appeared first on Trickbd.com.



    from Trickbd.com https://ift.tt/Gmc1pFr
    via IFTTT

    No comments:

    Post a Comment

    Fashion

    Beauty

    Travel