Binaural Beats এর মাধ্যমে মন নিয়ন্ত্রণ করুন!
প্রারম্ভিকতা
আমাদের মস্তিষ্ক সুরের প্রতি তীব্র সংবেদনশীল- এই বিষয়টি আপনি খুব সহজেই রিয়েলাইজ করতে পারেন; যেমন ‘আপনার কাছে কি কিছু কিছু সুর খুব শ্রুতিধর আর কিছু কিছু সুর কেমন জানি কর্কশ মনে হয়? কিছু সুর বা আওয়াজ আপনাকে নস্টালজিক করে তুলে- অতীত স্মৃতি রোমান্থন করিয়ে আপনার ঠোটে হাসি এনে দেয় কিংবা দুই চোখ অশ্রুতে ভাসায়? আবার এমন কিছু কিছু সুর বা শব্দ যা আপনার স্নায়ুতে অসহ্য তীব্র বিরক্তি জাগায়’, তাইনা?
সুরের মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্কে সৃষ্ট হওয়া মানসিক উদ্দীপনা’কে সঠিকভাবে ইউটিলাইজেশনের মাধ্যমে আমরা আমাদের মন’কে নিয়ন্ত্রণপূর্বক বিকাশ সাধন করতে পারি; সুরোর প্রতি এই চিরন্তন মোহ ও মায়া বিষয়টিকে Binarual Beats এর মাধ্যমে হিউম্যান ব্রেইন তথা মাইন্ড নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী হতে পারে।
Binaural Beats কি?
Binaural Brat হল একটি শ্রবণ প্রভাব তথা উদ্দীপিত মানসিক অনুভূতি (মূলত অডিটরীয়াল ইফেক্ট) যখন দুটি বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সির টোন একই সময়ে এক কানে একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সির টোন এবং অন্য কানে অন্য ফ্রিকোয়েন্সির নির্দিষ্ট টোন শোনা হয় তখন এই দুটি টোনের মধ্যে যে ফ্রিকোয়েন্সিগত পার্থক্য বিদ্যমান থাকে সেটিই একটি তৃতীয় টোন (এটি মূলত বাস্তবিকপক্ষে এক্সিস্ট করে না এমন এক অবাস্তব ফ্রিকোয়েন্সির সুর উদ্দীপনা – এটাকে অডিটরীয়াল হ্যালুসিনেশান বললেও ভুল হয়না) হিসাবে অনুভূত হয়। উদাহরণস্বরূপ যদি আপনি একটি কানে 300 Hz ফ্রিকোয়েন্সির একটি টোন এবং অন্য কানে 310 Hz ফ্রিকোয়েন্সির একটি টোন শুনেন তাহলে আপনি একটি 10 Hz Binaural Beat অনুভব করবেন।
Binaural Beats এর সাথে Brain এর সম্পর্ক
বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সির বাইনরাল বিট মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের তরঙ্গকে প্রভাবিত করতে পারে যা মূলত মস্তিষ্কের নিউরনের মধ্যকার তথ্য আদান প্রদানে ইলেকট্রিক ইম্পালসিভনেস এর কারনে জেনারেট হওয়া একরূপ ফ্রিকোয়েন্সী তরঙ্গ – একইসাথে তা মানসিক অবস্থার স্থিতিশীলতার সূচকও বটে!
Binaural Beat এর মাধ্যমে Brain Function ডেভোলপমেন্ট
এই সুরের প্রতি স্নায়ুর সংবেদনশীলতা’কে কাজে লাগিয়ে Mind Development করা যেতে পারে। আপনি হয়তো নিশ্চয়ই জানবেন যে Binaural Beat এর মাধ্যমে ব্রেইন ওয়েভের বিভিন্ন তরঙ্গ ব্যবহার করে সাইকোলজিক্যালি বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা সম্ভবপর। মূলত Binaural Beat হলো আমাদের শ্রবণ ইন্দ্রিয় দুই কানের প্রতিটিতে এমন ফ্রিকোয়েন্সির টোন দেওয়া যাতে একটি অপরটির মাঝে ফ্রিকোয়েন্সির মানগত পার্থক্য বিদ্যমান এবং তা মস্তিষ্ক’কের এক্টিভিটির বিচারে ইফেক্টিভ হয়।
বিষয়টাকে যদি সহজভাবে বুঝিয়ে বলতে হয় তাহলে ধরুন আপনার বাম কানে 132Hz ফ্রিকোয়েন্সির একটি টোন দেওয়া হলো এবং ডান কানে 121Hz ফ্রিকোয়েন্সির একটি টোন; তাহলে উভয়ের মাঝে ফ্রিকোয়েন্সির পার্থক্য হলো (132-121)Hz=11Hz, যা আপনার মস্তিষ্কে ঐ 132Hz এবং 121Hz এর দুটি টোন ছাড়াও শ্রবণ বিভ্রমে আলাদা একটি 11Hz এর তৃতীয় টোনের উপস্থিতি জানান দেয় – যা আপনার ব্রেইনে একটি ইফেক্ট তৈরী করতে সক্ষম। অপরাপর আমাদের মস্তিকের নিউরন সমূহের মাঝে যে ডাটা ট্রান্সমিট কমিউনিকেশন সিস্টেম রয়েছে সেখানেও ইলেকট্রিক ইম্পালসে ফ্রিকোয়েন্সি দ্বারা মানব মনের সকল আচার-আচরণ-প্রকৃতি প্রভৃতি অভিব্যক্ত হয়।
যদিও Binaural Beats আমরা প্রত্যক্ষভাবে শুনতে পাইনা তবুও আমাদের ব্রেইন সেটা ঠিকই উপলব্ধি করতে সক্ষম।
Binaural Beat Range
এখানে উল্লেখ্য যে দুটি কানে প্রদানকৃত ফ্রিকোয়েন্সি মাত্রা অবশ্যই 1k Hz (1000Hz) এর কম হতে হবে এবং পার্থক্য আপাত 30Hz এর বেশী হতে পারবে না।
আসুন এবার মস্তিষ্কের বিভিন্ন আচরণে ফ্রিকোয়েন্সির একটি চার্ট দেখে নিই:-
Binaural Beat Chart
Delta (0.1Hz-4Hz) :- গভীর ঘুম এবং শিথিলতা [আনকনশিয়াস মাইন্ড] – যা আপনাকে গভীরভাবে নিঃশ্চিন্তে ঘুমাতে সহায়তা করবে!
Theta (4Hz-8Hz) :- ঘুম, উদ্বেগ হ্রাস, শিথিলতা, ধ্যান ও সৃজনশীলতা [সাব-কনশিয়াস মাইন্ড] – যা আপনার ব্রেইনের অটো পাইলট স্টেট, ড্রিমিং এবং লার্নিং এর জন্য ইফেক্টিভ হবে!
Alpha (7.5Hz-13Hz) :- উদ্বেগ হ্রাস এবং ইতিবাচকতা [সাব-কনশিয়াস মাইন্ডের গেটওয়্যে] – যা আপনাকে Relaxation এনে দিতে সক্ষম!
Beta (14Hz-30Hz) :- সচেতনতা, সতর্ক মনোভাব, সমস্যা সমাধান, স্মৃতিশক্তি উন্নয়ন [কনশিয়াস মাইন্ড] – যা আপনার ব্রেইনের ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রবলেম সলভিং দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক!
Delta (>30Hz) :- অতি উচ্চতর সতর্ক-সচেতন মনোভব [কনশিয়াস মাইন্ড] – যা আপনার Mind এর কনসানট্রেশন সক্ষমতা বৃদ্ধি করে!
সুরের ঝংকারে মনস্তাত্ত্বিক উদ্দীপনা
এখন সুরের মাধ্যমে যে মস্তিষ্কে ব্রেইন ফাংশান ডেভেলপমেন্ট হতে পারে সেটা অনেকটাই আমাদের নিকট অপরিচিত হওয়ায় কারনে কিছুটা সংশয় কাজ করতে পারে তাই বিষয়টি আমাদের প্র্যাকটিকালি স্পষ্ট হওয়া উচিত হবে।যেকোন শব্দ তথা সাউন্ড একটি কম্পন তৈরী করে যা তরঙ্গ আকারে বাতাসের অনুর স্পন্দনে আমাদের কান অবধি পৌছায়; তবে আমরা কি কখনো সেই শব্দে ঐ কম্পন অনুভব করেছি?
Tong Psychological Stimulative Simulation [Tong Psychological Stimulative Simulation] হতে বিষয়টা একটু উপলব্ধি করার চেষ্টা করতে পারি যেখানে সামান্য একটা অডিও সাউন্ড আপনার ডিভাইসে [মোবাইল ডিভাইস হলে হেডফোন/ইয়ারফোস ছাড়া] কম্পন আপনি অনুভব করতে সক্ষম হবেন। অন্যদিকে এমন সুরের ঝংকার যা হয়তো আপনি কানে শুনতে পাবেন না – ইনফ্রাসাউন্ড [Infra Sound Psychological Stimulative Simulation] তা আপনার মনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে; ইনফ্রা সাউন্ড ইফেক্ট হতে পারে ভয়, উদ্বেগ, অস্বস্তি কিংবা অলীক দর্শন [ব্যক্তির মানসিকতার ওপর নির্ভর করবে]
Binaural Beats Psychological Stimulative Simulation
Delta:- https://humayunshariarhimu.github.io/Delta
Theta:- https://humayunshariarhimu.github.io/Theta
Alpha:-
https://humayunshariarhimu.github.io/Alpha
Binaural Beats Generator Psychological Stimulative Simulation:-
https://humayunshariarhimu.github.io/Binaural-Beats-Generator/
Binaural Beat Caution
প্রত্যহ Binaural Beat নিয়ম অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ে ৩০ মিনিট একাধারে শোনা যেতে পারে (অথবা আপনার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হয় এমন নাতিদীর্ঘ সময় ব্যাপী) সেক্ষেত্রে Sound Volume যেন অবশ্যই সীমিত থাকে যাতে আপনার শ্রবণ সক্ষমতায় কোন নেগেটিভ ইফেক্ট না পড়ে!
কনক্লুশন
The post Binaural Beats এর মাধ্যমে মন নিয়ন্ত্রণ করুন appeared first on Trickbd.com.
from Trickbd.com https://ift.tt/2SzThrW
via IFTTT
No comments:
Post a Comment