• এসএসসি রেজাল্ট ২০১৯ । নাম্বার সহ এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষার ফলাফল ২০১৯Breaking News

    Tuesday, February 11, 2025

    New

    সাইকোলজিক্যাল টাইম ট্রাভেল!

    সাইকোলজিক্যাল টাইম ট্রাভেল

     

    প্রারম্ভিকতা

    খুব সহজভাবে বললে “সময়” হলো দৈর্ঘ্য,প্রস্থ আর উচ্চতার মতোই অন্যতম এক অনন্য মাত্রা – যাকে সাধারণত চতুর্থ মাত্রা [Fourth Dimension] নামে অভিহিত করা হয়; “সময়” মাত্রা’টিকে অনন্য বলার কারণ এটি আপাতভাবে সচরাচর সহজ মনে হলেও আদতে তা খানিকটা রহস্যময় রোমান্টিক টাইপের জটিল [Complex] বললেও হয়তো খুব একটা ভুল হয়না! এই যেমন সময়ের আপেক্ষিকতায় কাগজে কলমে [Theoretically] সময় ভ্রমণ [Time Travel] সম্ভবপর; তাতে হয় রাক্ষুসে অন্ধকার বিশাল বিকট ব্ল্যাকহোলের অভ্যন্তরে পাড়ি জমাতে হবে নয়তো আমাদের চারিপাশের অতিশয় সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ওয়ার্মহোল [Wormhole] খুঁজে ফিরতে হবে! অন্যদিকে প্যারাডক্সের প্যারাতে আমাদের ভাবনা যেমন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায় তেমনি আলোক বেগ অর্জন করতে না জানি এই ভারী সুন্দর ভরের দেহখানি ছিন্নভিন্ন হয়ে শক্তিতে রূপ নেয় [E = mc^2]!

    নাহ…ফিজিক্সের নিয়ম বড্ড কঠিন;তাতে চড়ে স্বপ্নীল সময় ভ্রমণ কবে নাগাদ সত্যি হবে তা কে জানে?! এরচেয়ে চলুন Psychics এর কট্টরতা এড়িয়ে Psychology এর ডানায় চেপে Time Travel করে আসি…

    হুমম…বাস্তবিকার্থে এমন সময় ভ্রমণ হয়তো Absolute তথা পরম হবে না বটে – তথাপি মানব জীবনে যেথায় মস্তিষ্ক’ই সর্বেসর্বা সেথায় Relatively (আপেক্ষিকভাবে) সাইকোলজিক্যাল স্যাটিসফেকশান গেইন করার প্রয়াস হাস্যকর মনে হলেও আদতে নন-ইফেক্টিভ নয় অন্তত; তদুপরি এখানে সময় নিয়ন্ত্রণ [Access of Time] এর মাধ্যমে মানব জীবনের সকল ফ্যাক্ট এনালাইসিস ও সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়ার যে প্রয়াসিত সম্ভাবনা – তাতে হয়তো সত্যি সত্যিই আপনি হয়ে উঠবেন Psychological Super Human!

    সময়-সাইকোলজি রিয়েলাইজেশান

    সাইকোলজিক্যাল সময় ভ্রমণের সুপার ভুবনে প্রবেশের আগে “সাইকোলজি” এবং “সময়” এর মাঝে সূত্র গাঁথা উচিত; যেন সঠিক রিয়েলাইজেশন অর্জনে মানব মস্তিষ্কে ঐ থিম গেঁথে যেতে সক্ষম হয় – তবেই না Super Human হওয়ার সাধ মিটিবে!

    মানুষ হিসেবে আমরা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য প্রাণী – তাতে ইন্দ্রিয় বহির্ভূত বিষয় সমূহ সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে না পারায় মানব মস্তিষ্ক তা উহ্য [Underestimate] করে; শুধু যে Underestimate করেই ক্ষান্ত হয়ে তা নয় বরং উহা আপন জ্ঞান তথা Knowledge এর তথ্য বা Data সমূহ দ্বারা যুক্তিগত এনালাইসিসের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন [Logical implementing] ঘটায়। আচ্ছা উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা বোঝানো যাক “ধরুন আপনি শূন্য মাত্রার এমন এক প্রাণী যার দৈর্ঘ্য,প্রস্থ বা উচ্চতা কিছুই নেই যেমন একটি পয়েন্ট বা বিন্দু [আদতে বাস্তবিকার্থে যদি আপনি একটি বিন্দু অঙ্কন করেন তবুও তার নূন্যতম হলেও দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা রইবে – সুতরাং উহা ত্রিমাত্রিক; তথাপি মাত্রা শূন্যতা বোঝাতে রূপকভাবে “বিন্দু” এর অবতারণা করা হলো মাত্র] তাহলে আপনার চোখে এই জগত কেমন হবে ভাবুন তো? দৃশ্যত জগতের সবকিছুই আপনার নিকট মাত্রাহীন অসমামঞ্জস্যপূর্ণ ঐরূপ বিন্দু বিন্দুর মতোই মনে হবে! আবার আপনি যদি দ্বিমাত্রিক প্রাণী হউন যার কেবলমাত্র দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ আছে তাহলে একটি ত্রিমাত্রিক প্রাণী (ধরে নিচ্ছি পৃথিবীর এক হাতি) এর আপনার ভুবনে অবতারণার করলে আপনার কল্পনা স্বরূপ কেমন হবে? ঠিক অনেকটা একটি তলে সর্বপ্রথম হাতির মোটা খাম্বার মতো গোলাকার চারটি পা’কে থ্যাবড়ানো চারটি বৃত্তের মতো মনে হবে যা চতুর্ভুজের চারটি কোণের অবস্থানে বিরাজমান – এরপর হাতির শরীরের অংশ মনে হবে যেন ঐ চারটি বৃত্ত মিলে মিশে একাকার হয়ে বিশাল আরেক অসম থ্যাবড়ে যাওয়া বৃত্তের উদ্ভব হচ্ছে – তার হাতির শুঁড় মনে হতে পারে অনেকটাই ঐ বৃত্তের ভেতর হতে লিকলিকিয়ে বের হয়ে আসা অভিক্ষেপিত অংশ আরকি [যেহেতু দ্বিতীয় মাত্রার প্রাণী হিসেবে আপনার তৃতীয় মাত্রা তথা উচ্চতা সম্পর্কে ধারনা নেই]!”

    কি?!

    আবার ফিজিক্সের সখী ম্যাথ এর গ্রাফ পেপারে কট্টরতা বোঝাচ্ছি বলে মনে হচ্ছে, তাইনা?! নাহ, আপনাকে এতোটুকু অন্তত বোঝানোর চেষ্টা করা হলো যে “একটি নির্দিষ্ট মাত্রার প্রাণী হয়ে আপনার ধ্যান ধারণার ধরণ [Style] কতোটা বৈচিত্র্যময় হতে পারে” সেথায় আপনার স্বাপেক্ষে আপনি যেটা ভাববেন সেটাই আপেক্ষিকভাবে সত্য বটে তবে পরমভাবে উহা নাও হতে পারে; আদতে “পরম” বিষয়টাই যেন এক চরম “আপেক্ষিক” ফ্যাক্ট! তাতে আমাদের ব্রেইন’কে রূপকভাবে বোকা বাক্স বললে ভুল হবে কি?!

    লার্নিং ফ্যাক্ট

    (1) আমাদের ধ্যান-ধারণা ও চিন্তা-চেতনার বহিঃপ্রকাশ আপেক্ষিক

    (2) সত্য ও মিথ্যার তুুলনায় আপেক্ষিকতা বিচার করা শ্রেয়তর উপায় কেননা পৃথিবীতে “পরম” এর অবস্থান আপাত অনিশ্চিত

    (3) এই পৃথিবী বা জগত আপনার নিকট তেমনি ঠিক যেমনি আপনার চিন্তা চেতনা – তাইবলে অন্যের নিকট যে আপনার ধারনা মতোই এই পৃথিবীর দর্শন [Philosophy] হবে তা নয় কিন্তু

    (4) দিনদিন টেকনোলজি উৎকর্ষিত হউক বা সভ্যতার বিকাশ ঘটুক তথা মানব জীবন উন্নত হউক আদতে মানব জীবন তথা Human Life এর একদম মূল [Root] মোটিভ বা ইনটেনশন কিন্তু কেবলি সাইকোলজিক্যাল স্যাটিসফেকশান মাত্র

    (5) সবকিছুর সমাধান পেতে কারন অনুসন্ধানে যুক্তি তথা Logic এর শরণাপন্ন হলেই সর্বাধিক সঠিকতম ফলাফল লাভ করা সম্ভবনা থাকে

    (6) “বিশ্বাস” হলো “যুক্তি” এর চেয়েও চেয়েও অপেক্ষাকৃত প্রভাবশালী অনুভূতি যা চেতনা [Consciousness] এর চেয়ে খানিকটা দূর্বল – তথাপি সুখী ও সফলকাম হতে উভয়ের মিথস্ক্রিয়ায় ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান আবশ্যক

    (7) মানব মস্তিষ্কের চিন্তা চেতনার স্পেসিফিক ধরাবাঁধা সীমা-পরিসীমা নেই

    (8) একজন মানুষের চিন্তা তখনই ইফেক্টিভ হিসেবে সাব্যস্ত হয় যখন তাতে Logic বিদ্যমান থাকে; তাইবলে Logical সব চিন্তায় যে পরম সত্য হবে এমন ভাবনাও অমূলক বটে

    (9) আপনি কতো দ্রুত চিন্তা করতে পারছেন সেটা আপনার মস্তিষ্কের সক্রিতার প্রকাশক হলেও আপনার থিংকিং এর বৈচিত্র্যতা তথা ধরণ,দর্শন,প্যাটার্ন ইত্যাদি স্বকীয়তার পরিচায়ক!

    টাইম-সাইকোলজি ফ্যাক্ট

    (1) “সময়” এর পরিবর্তনের সাথে “সাইকোলজি” পরিবর্তিত হয়; এই পরিবর্তন খুবই “স্বাপেক্ষ” একটি বিষয় যেমন সময়ের সাথে সাথে কারোর প্রতি প্রেম,ভালোবাসা, মায়া ইত্যাদি বাড়তে বা কমতে পারে / সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতির সহিত খাপ খাওয়িয়ে নেওয়া তথা অভিযোজিত হওয়া / সময়ের সাথে সাথে স্মৃতি মলিন হতে থাকে / সময়ের সাথে সাথে কোন নেশা বা Attraction অভ্যাসে পরিণত হয় আবার প্যাশানের প্রতি প্রবলভাবে অবসেসিভ হওয়ার সম্ভবনা থাকে / নির্দিষ্ট কোন অবসেশন ধীরে ধীরে স্থায়ী বিশ্বাসে রূপান্তরিত হয় / বিশ্বাস ধীরে ধীরে কমতে বা কমতে পারে ইত্যাদি

    (2) সময়ের সাথে সাথে আপনার অভ্যন্তরীন সত্তা [চেতনা] পরিবর্তিত হতে পারে যাতে আপনার জীবনের পরিবর্তন ঘটে

    (3) “সময়” এর সাথে “সিচুয়েশান” এর স্মৃতিগত সুপ্ত সূত্র বিদ্যমান উদাহরণস্বরূপ যেমন আপনি হয়তো কোন কালে অমুক স্থানে আপনার প্রয়াত প্রেয়সীর সাথে দেখা করতেন – তাতে সময় পরিবর্তিত হলেও অমুক স্থানে পরবর্তীতে আপনার কখনো উপস্থিত হলে সেই স্মৃতি আপনার মন তথা মস্তিষ্কে পুনরায় জাগ্রত হতে পারে

    (4) সময়ের সাথে সাথে মস্তিষ্ক যেমন নতুন নতুন Data স্টোর হয় [Conscious Mind] তেমনি অতীত আপাত অপ্রয়োজনীয় কিছু তথ্য সুপ্ত অবস্থানে [Sub-Conscious State] জায়গা করে নেয় – আবার তা অবচেতন মন [Unconscious Mind] এর আধারে আপাত লুপ্ত [Hide] হতে পারে

    (5) সময়ের সাথে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ [Environment] স্বাপেক্ষে হিউম্যান সাইকোলজি সম্পর্কিত যেমন খুব ভোরবেলা মুক্ত আকাশের নিচে শীতল মৃদ্যু বাতাসে আমাদের মন রিফ্রেশ থাকে / বিকালবেলা বেড়াতে গেলে গেলে আমাদের মনে প্রফুল্লতা আসে / গভীর রাতে একাকীত্বে আমাদের মনে নস্টালজিয়ার আবির্ভাব ঘটে / রাতে নির্জন স্থানে একাকী যেতে আমাদের মনে ভয়ের সঞ্চার ঘটে ইত্যাদি

    (6) সময়ের সাথে সাথে হিউম্যান বায়োলজিক্যাল ক্লকে যে শুধু আমরা ফিজিক্যালি নিয়ন্ত্রিত হই [যেমন রাতের বেলা ঘুম আসে] তা নয় বরং সাইকোলজিও প্রভাবিত হয় বটে; যেমন বিকালে আমাদের মনে রোমান্টিকতা জাগে তো রাতে ইমোশন – অন্যদিকে ঠাই দুপুরে মেজাজ হট [উত্তেজিত মনোভাব] হয়ে থাকাও অস্বাভাবিক নয়

    (7) সাইকোলজিক্যালি রূপকভাবে [Metaphor] সময়ের আপেক্ষিক Density বিদ্যমান যেমন উদাহরণস্বরূপ বিপদ আপদে আমাদের নিকট মনে হয় সময়টা খুব ভারী / অনেক দূর পথে হাটতে হাটতে মনে হয় পথ যেন আর ফুরাচ্ছেই না / রোমান্টিক বা আনন্দের মুহূর্ত যেন দ্রুতই কেটে যায় ইত্যাদি

    (8) সময়কে আটকে রাখা তথা Store করার জন্য আমরা প্রয়াসিত হই ইতিহাস সংরক্ষণ করে,ডাইরি লিখে, ভয়েজ রেকর্ড বা ছবি তুলে কিংবা ভিডিও রেকর্ড করে স্মৃতি আগলে রাখার মাধ্যমে!

    সাইকোলজিক্যাল সময় নিয়ন্ত্রণ

    সময় আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে নাকি আমরা সময়’কে নিয়ন্ত্রণ করি? এই প্রশ্নের উত্তরটা সহজভাবে এমন হতে পারে যে “সময় কর্তৃক অনেকটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমরা নিয়ন্ত্রিত হই” কেননা সময় অনেকটা বহমান নদীর জলস্রোতের মতোই তাতে আমরা সময়ের বেগে ভেসে বেড়াই! ঐ নদীর বাকে যেথায় ছোট ছোট খাঁদ আছে সেথায় যেমন জলস্রোত কিছুটা প্রভাবিত হয়ে স্রোতের বেগের সামান্য কিছুটা পরিবর্তন ঘটে – তেমনি সময়ও ভর [Mass] স্বাপেক্ষে উহার স্বকীয় গতি [Speed] এর তারতম্য তথা পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় [প্রচলিত উদাহরণে এক টান টান চাদরের মধ্যখানে ভারী লোহার বল রাখলে তাতে যে খাদের ন্যয় গর্ত সৃষ্টি হয় ঐ অঞ্চলে সময়ের গতি যেন খানিকটা ধীর হয়ে যায় আরকি]! যাই হউক সাইকোলজিক্যালি “সময় নিয়ন্ত্রণ” [Time Access] আদতে কিরূপ হতে পারে? – এই প্রশ্নের উত্তর হলো “উপলব্ধি” তথা Realisation করার প্রয়াসিত প্রচেষ্টা [তাতে সময়’কে আপনি হাতের মুঠোয় হয়তো কুক্ষিগত করতে পারবেন না সত্য তবে আত্তীকরণ করতে সক্ষম হবেন]। Time Access প্রক্রিয়ায় আত্তীকরণ প্রক্রিয়া এমন হবে যেন “আপনি যখন যেভাবেই যেমন অবস্থায় থাকেন না কেন ঐ অবস্থানের সহিত সময়’কে এরূপে সংযোজিত করুন যেন আপনার এক্টিভিটিতে তা পরিস্ফুটিত হয়” যেমন উদাহরণস্বরূপ দুপুরে আমরা Lunch করি – এখানে দুপুর সময় আসলেই আমাদের মনে অবচেতনভাবেই Lunch এর বিষয়টি চলে আসে তেমনি আপনার প্রত্যাহিক সকল এক্টিভিটিতে ঠিক কোন সময়ে কেমন পরিস্থিতি’তে কিরূপ ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সংঘটিত হচ্ছে সেটা গভীরভাবে অবজার্ভেশান নিশ্চিত করুন। এই প্রক্রিয়ায় আপনি হয়তো সময়’কে ইচ্ছাধীন নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবহার [Utilisation] করতে পারছেন না সত্য তথাপি এটাও মিথ্যা নয় যে এরূপ ক্রিয়াকলাপে আপনি সময়ের স্বাপেক্ষে সিচুয়েশন রিয়েলাইজেশনে সর্বাধিক ইফেক্টিভিটি গেইন করতে সক্ষম হবেন। উদাহরণস্বরূপ ধরুন আজ রাতে আপনার বাসায় পৌছাতে পথে একাকী হাটতে হাটতে অযাচিত আগন্তুক এক পথচারী গল্প কথায় আপনার ঘনিষ্ঠ হয়ে ছিনতাই করে আপনার সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেলো – তাহলে আগামীকাল রাতে ঐ সময়ে একইরূপ হেটে হেটে গন্তব্যে পৌছানোর সময় আপনি আরও অধিক সচেতন হতে সচেষ্ট হবেন। এইভাবে আপনি বর্তমান সময়’টিকে আত্তীকরণের মাধ্যমে অতীতের শিক্ষার সুফলতা বাস্তবায়ন এবং ভবিষ্যতের জন্য সফল প্ল্যানিং করতে সক্ষম হবেন!

    সাইকোলজিক্যাল টাইম ট্রাভেল

    এখন আমাদের সম্মুখে একটি প্রশ্ন আসে যে “সাইকোলজিক্যাল টাইম ট্রাভেল” আদতেই কি সম্ভব? যদি সম্ভব হয় তাহলে সেটা কিভাবে? প্রথমোক্ত প্রশ্নের উত্তর হলো “হ্যা, সাইকোলজিক্যাল টাইম ট্রাভেল অবশ্যই সম্ভব” তবে এটা অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে যে এটি সাইকোলজিক্যাল তথা মনস্তাত্ত্বিক! দ্বিতীয়ত এই সাইকোলজিক্যাল টাইম ট্রাভেলের উপায় হলো কল্পনা যার বাস্তবায়িত স্বরূপ অনেকটাই ধ্যান তথা মেডিটেশানের মাধ্যমে সম্ভবপর হবে [তাইবলে কল্পনা মানে এই যে এটি সস্তা কল্পকথা এবং উক্ত মেডিটেশান এমন নয় যে সচরাচর সহজ ধ্যান ধরে কেবলি আধাত্মিকতা মাত্র]! এক্ষনে একটি বিষয় বিচার ও বিবেচনা করা যেতে পারে “ধরুন আপনি Physics এর উদ্ভাবিত Time Machine এ চড়ে সত্যি সত্যিই সময় ভ্রমণ করতে সফল হলেন কিন্তু আদতে আপনি ঠিক কি Gain করলেন? বাহ্যিক বস্তুবাদী চিন্তায় আপনি হয়তো অতীত পাল্টে ফেলতে বা ভবিষ্যত জেনে নিতে সক্ষম হচ্ছেন বটে তথাপি সবকিছুর মূলে আপনি যা পাচ্ছেন সেটি কেবলি Satisfaction মাত্র” আর MyMoon আপনাকে ঠিক তেমনি সাইকোলজিক্যাল টাইম ট্রাভেলের মাধ্যমে বাস্তব জীবনে সুফলতা ও সফলতা লাভে সুনিশ্চিতভাবে আপনাকে সাইকোলজিক্যাল স্যাটিসফেকশান উপহার দিবে!

    আসুন এখন টাইম ট্রাভেল আরম্ভ করা যাক….

    অতীত সময় ভ্রমণ

    অতীত সময় ভ্রমণের স্বরূপ Simulation আকারে হতে পারে যেখানে আপনি আপনার জীবনের অতীত সময়ের Remind কল্পনাতে অনেকটা Movie এর উপভোগ [আদতে স্মৃতি রোমন্থন মনে হলেও এটি Logic এর মাধ্যমে একরূপ ইফেক্টিভ এনালাইসিস] করতে পারবেন; তাতে আপনি অতীত সময় [ইচ্ছাধীন Control ব্যতীত] Access করতে সক্ষম হবেন!

    অতীত ভ্রমণে আপনাকে সবার আগে নির্দিষ্ট করতে হবে যে আপনি ঠিক কোন সময়ের অতীত Access করতে চাচ্ছেন – সর্বাগ্রে ঠিক ঐ সময়’টিকে স্পেসিফাইড করুন >>> এখন উপযুক্ত Environment [সবচেয়ে Preferable হলো মধ্যরাত বা শেষরাতের শান্ত নিঃস্তব্ধ পরিবেশ] – এ আপনার শরীরটাকে শিথিল করে দুই চোখ বন্ধ করে আপনার ঐ অতীতের বিষয়গুলি কল্পনাতে রোমন্থন করতে প্রয়াসী হউন [বিষয়টা এমন নয় যে এটা সচারাচর শিথিল অতীত স্মৃতিচারণ বরং সচেতনভাবে অবচেতন মনের এমন ক্রিয়া যেন তাতে আপনার উক্ত অতীত যথাসম্ভব জীবন্ত ভাবে আপনার সম্মুখে Flashback হয়] >>> এখন আপনার ঐ সেই অতীতের ঘটনাবলী যা আপনার এখন (বর্তমান সময়ের স্বাপেক্ষে) মনে হয় যে “অমুক করলে হয়তো তমুক হতো” সেই বিষয়গুলো Mark করুন [এমনভাবে বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে হবে যেন অহেতুক আবেগ নয় বরং যথাসম্ভব যৌক্তিকতা থাকে] >>> ঐ সকল Marked বিষয়গুলো স্পেসিফিকভাবে Note করে ‘ব্যক্তি’ হিসেবে আপনার স্বাপেক্ষে Knowledge ও Wit ব্যবহার করে Logic দ্বারা আপনার জন্য Learning Lesson সমূহ তৈরী করুন [এই প্রক্রিয়ার Accession হয়তো আপনাকে Emotional করে তুলতে পারে – যেখানে আপনার Control আক্ষরিকভাবেই নেই; তথাপি আপনি যে Learning Lesson সমূহ পেয়েছেন সেটা ভেবেও স্বান্তনা খুজতে পারেন। বস্তুত স্বান্তনা মানে শুধুই মনের প্রবোধ মানাতে মিথ্যা ছলনা নয় – স্বান্তনা হলো স্বস্তি লাভের অনন্য উপায়; যেখানে কষ্টের নিরাময়ক আনন্দ নয় বরং প্রশান্তিকর স্বান্তনা মাত্র]!

    বর্তমান সময় যাপন

    বর্তমান সময় তথা Present Time যদিচ ভ্রমণ করার বিষয় নয় বলেই মনে হয় তবুও আমরা আরও গভীরভাবে থিংকিং করি যেন সঠিকভাবে রিয়েলাইজেশন করতে সক্ষম হই; বস্তুত আমরা ‌যে “বর্তমান সময়” বলে থাকি আদতেই কি সেই বর্তমান নামক সময়’টির অস্তিত্ব আছে কি?!

    এই যেমন আজকের দিনটিকে হয়তো আপনি আপনার “বর্তমান সময়” হিসেবে ভাবতে পারেন – তথাপি সেটা আরও Reduce করে ঘন্টা/মিনিট অথবা সেকেন্ডে নিয়ে আসলে আপনার জন্য বর্তমান সময়ের স্বরূপ এমন হবে যেন “এটি আমার বর্তমান সময়” বলতে বলতে বা ভাবতে ভাবতেই তা অতীত হয়ে যাবে এবং আপনি নিয়ত ভবিষ্যতে পদার্পণ করে ফেলবেন, তাইনা? আবার আপনি বর্তমান সময়ে সূর্যের আলোয় পৃথিবীর যে সৌন্দর্য উপভোগ করছেন তা আদতে ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড আগের সূর্যের আলো [পৃথিবী হতে সূর্যের দুরত্ব ও আলোর বেগ বিবেচনায়] -তে প্রতিফলিত হয়ে আপনার চোখে দৃশ্যমান হচ্ছে; রূপকভাবে এভাবে বলা চলে আপনি অতীতের আবেশে বর্তমানকে অবলোকন করছেন। অন্যদিকে সূর্যাস্তের পর রাতের আকাশে যেসব তারা বা নক্ষত্র দেখেন তা আদতে [দুরত্ব বিবেচনায়] ঐ নক্ষত্রের অতীত অবস্থা মাত্র! বোঝার সুবিধার্থে উদাহরনস্বরূপ Proxima Centauri এর দুরত্ব 4.2 Light Year যাতে Proxima Centauri হতে আলো Earth তথা পৃথিবীতে আসতে সময় লাগে 4 Year 3 Month – সুতরাং আপনি এখন যে Proxima Centauri অবলোকন করছেন তা আসলে Proxima Centauri এর 4 Year 3 Month এর আগের অবস্থা – উল্টো করে বিবেচনা করলে Proxima Centauri হতে শক্তিশালী একটি টেলিস্কোপ স্থাপন করে পৃথিবীর প্রতি ফোকাস করলে পৃথিবীর 4 Year 3 Month আগের অবস্থা অর্থাৎ অতীত সময় দেখতে পাবেন!

    সুতরাং অনেকটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় “বর্তমান সময়” এর বলে আদতেই কিছু হয়না – বড়জোর খুবই স্বল্প সময়ের পরিসর যা তাৎক্ষণিক ক্ষণ [অতীত ও ভবিষ্যত সময়ের মধ্যকার ব্যবধান (ΔT) পরিমান সময়] “বর্তমান” হিসেবে ইন্ডিকেট করা যেতে পারে; এই অতিশয় সূক্ষ ক্ষীণ ক্ষণ’টি আদতে উপলব্ধি স্বাপেক্ষ স্থিতিশীলভাবে ইউটিলাইজেশান খানিক কঠিন বটে – তবুও এই “বর্তমান” সময় হতেই অতীত ভ্রমন [অতীতের সময়ের Remind] এবং ভবিষ্যৎ ভ্রমণ [অতীতের সময়ের Remind হতে প্রাপ্ত Perception দ্বারা ভবিষ্যত Planning] এর মাধ্যমে মাধ্যমে সর্বাধি Effectively বর্তমানের স্বার্থক Utilisation সম্ভব যাতে আপনি জীবনে সুখ তথা স্যাটিসফেকশান ও সুফলতা তথা সফলতা এচিভ করতে পারেন – এমনই আদর্শিক হওয়া উচিত আপনার বর্তমান সময় যাপন!

    ভবিষ্যত সময় ভ্রমণ

    ভবিষ্যত সময় ভ্রমণ অনেকটাই অতীত সময় ভ্রমণের মতোই Simulation স্বরূপ হলেও এখানে আপনার Access এমন হবে যেন আপনি কল্পনাতে সঠিক Planning এর মাধ্যমে ভবিষ্যত Control করতে প্রয়াসী হচ্ছেন! এই প্রচেষ্টায় আপনার কল্পনার চিন্তাধারা এমন হবে যেন আপনি আপনার ‘ভবিষ্যত’ এক Simulation চিত্রে “আপনি কি করলে তার ফলাফল ঠিক কেমন হতে পারে?” সেটা নিয়ে Logically আপন মনে খেলবেন – সেই খেলায় যদি ভুল হয় তবে Undo করে আবার নতুন করে খেলার ছক সাজাবেন যেন চূড়ান্তভাবে ভবিষ্যৎ বিজয় সুনিশ্চিত হয় >>> আপনার কল্পনার প্রতিটি ভাবনার স্বাপেক্ষে এমনভাবে নিজেকে অভিযোজিত করায় সংকল্প গ্রহণ করবেন যেন “আপনি তো ভবিষ্যৎ জানেন’ই [By Logical Hypothesis] – এখন সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পূর্ব হতেই প্রস্তুত হচ্ছেন মাত্র [By Learning Lesson & Logic]”!

    কনক্লুশন

    সময় এমন একটি মাত্রা যা অন্যান্য মাত্রার মতো ফিজিক্যাল অবস্থিতিগত উপস্থিতি না থাকলেও আমরা সেই সময়ের চাদরেই যেন নিয়ত আষ্টেপৃষ্টে আছি – তাইতো সাইকোলজিক্যালি সেই সময় এর ইউটিলাইজেশানে না হয় সফলতার সুফলতা পেতে টাইম ট্রাভেল করি আসি…
    ফেসবুকে আমন্ত্রণ রইলো:- Humayun Shariar Himu
    সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।

    The post চলুন সাইকোলজিক্যাল টাইম ট্রাভেল করি! appeared first on Trickbd.com.



    from Trickbd.com https://ift.tt/Bj8csOX
    via IFTTT

    No comments:

    Post a Comment

    Fashion

    Beauty

    Travel