সিনেমার মতো জীবন নাকি জীবনের সিনেমা আপনি কোনটা বেছে নেবেন? সেটা আপনার বিষয় তবে আমি বেছে নিলাম জীবনের মত সিনেমা। যে জীবন ভালোবাসার দুঃখের কষ্টের রূপকথার যে জীবন মানুষের।
হ্যাঁ সিনেমাটা হয়তো আমি ফাস্ট ডে ফাস্ট শোতে দেখেছি! যেমনটা কথা দিয়েছিলাম কিন্তু ভিডিওটা একটু দেরি হয়ে গেল কারণ অনেকটা সময় আমি ঘোরের মধ্যে দেখেছি, মানে সিনেমাটা দেখে।
তার মানে কি সিনেমাটা খুবই অসাধারণ ফাটাফাটি? না আসলে সিনেমাটা খুবই সাধারণ তেমনি একটা সাধারণ সাবলীল গল্পকে কিভাবে অসাধারণ করে তোলা যায় তেমনি একটা জার্নি দেখানো হয়েছে এই হাওয়া সিনেমায়।
আমরা হাওয়া সিনেমার গল্প করবো আজকে সেরকম দু’ভাগে ভাগ করে ফাস্ট হাব এবং সেকেন্ড হাব।
প্রথমেই কথা বলি ফার্স্ট হাব নিয়ে।
আপনি যদি ভাবেন এটা জেলে পাড়ার দুঃখ দুর্দশার গল্প তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন, এটা ওই নুন আনতে পান্তা ফুরাই ওরকম গল্প কিন্তু নয়। এটা পদ্মা নদীর মাঝিরা।
বাস্তবতার অবাস্তবতার দোলাচলে ফেলে দেয়ার গল্পই হাওয়া! ফাস্ট হাব নিয়ে কথা বলব বলছিলাম।
শুরুতে দেখা যায় যে ট্রলারে করে আট মাছিমালা রওনা হয়েছে গভীর সমুদ্রের মাছ ধরতে, সেখানে তারা একই সুরে গান গাইতে গাইতে জাল ফেলছে, মাছ ধরছে সেই মাছ দিয়ে রান্না করে ও সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করছে।
কখনো কখনো ট্রলারে ডেকে বসে আনন্দে পান চিপচ্ছে চার মাঝি! আবার ওই উল্কাশ পার্কেসের হাসি ঠাট্টা সেই সাথে কিছুটা গম্ভীর প্রকৃতির ইব্রাহিম ইঞ্জিন রুমে সময় কাটাচ্ছে তার বন্ধু নাগু, এভাবেই খুব সুন্দর সাবলীল ভাবে গল্পেগোতে থাকে।
তবে এই গল্পই এক রহস্যময় দিকে মোট নেয় যখন তাদের জালে আটকা পড়ে এক বোবা তরুণী নাজিফা তোশি যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
এই ফাস্ট হাবে আপনাদের চোখে পড়বে কয়েকজনের অভিনয় সেটা নিয়ে আমরা কথা বলব।প্রথম অংশে আপনার চোখে পড়বে নেতিবাচক চরিত্রে সুমন আনোয়ারের ফুটে ওঠা, সেই সাথে কিছুটা ইউনিক কথা বলার ধরণের তার আঞ্চলিকতা বেশ মানানসই লাগে।
এ পরে সোহেল রিজভী যতক্ষণ ক্যামেরায় ছিলেন ততক্ষণ আনন্দ দিয়েছেন! তাদের মিষ্টি ভোলা ভোলা চরিত্রে অভিনয় যেমন দেখার মত ছিল তেমনি তাদের বন্ধুত্ব ও খুব ভালো লেগেছে। আমার বিশ্বাস করে খুব ভালো লেগেছে রিজভীর অভিনয়।
তার ডায়লগ মানেই মন একদম ভালো হয়ে যাচ্ছিল, তিনি যতবার ক্যামেরায় আসছিলেন ততবার খুবই মিষ্টি লেগেছে। দুর্দান্ত এক্সপ্রেশন এবং কথা বলার ভঙ্গিমা সেই সাথে তার মেকআপ কোন ব্যাপারটা একটা দারুন কম্বিনেশন ছিল সোহেলের মিষ্টি হাসিও খুব ভালো লেগেছে।
তবে কিছুটা আখক্ষেপ এখানে থেকে গেছে যে ওকেস সার্কেসের বন্ডিং যদি আরেকটু দেখানো হতো আরেকটু ডেভেলপ করা হতো তাহলে আরো ভালো লাগতো দেখতে ,আমাদের মানে মনটা হয়তো আরেকটু ভরে যেত।
চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় নিয়ে আসলে কিছু বলার নেই আমি প্রতিবারই একটা কথাই বলি, আমি যতবার চঞ্চল চৌধুরী কাজ সিনেমায় পর্দায় দেখি ততবার আমার তাকে চঞ্চল চৌধুরী কক্ষনই মনে হয় না।
প্রত্যেক বার ই ওই নির্দিষ্ট চরিত্রের অভিনয়শিল্পী তাকে মনে হয় ।এবারও চঞ্চল চৌধুরী হতাশ করেনি তিনি খুব দারুণ অভিনয় করেছেন. নেতিবাচক একটি চরিত্রে খুব ভালোভাবে ফুটে এসেছেন তারপর প্রতি কিছুটা রাগী হয়েছে আসলে তবে এটা তার প্রাপ্তি বলা যেতে পারে।
সেকেন্ড হাফ এ সুন্দর এই সাবলীল গল্প রহস্যময় একদিকে কারণ বোট এ আছে অজ্ঞাত এক তরুণী এই তরুণীকে নিয়ে কি করা যাবে কারণ বটে তো মেয়ে মানুষ ও ছাতাম তবে নাগর জোড়া জোড়িতে তাকে বটে রেখে দিতে হয়। এবং এই সময় থেকে টেনশন শুরু হয় প্রচন্ড টেনশন আপনার মনে হবে আপনি তাদের সঙ্গে যাত্রা করছেন।
ট্রেলার যেমনটা বলেছিলাম যে একই সাথে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যেরকম একটা ফিল দিয়েছিল যে একই সাথে শান্তি শান্তি এবং অশু কিছুর আভাস সেরকমই এক অস্বস্তিতে কাটবে সেকেন্ড হাঁফ।সেকেন্ড হাফে প্রচন্ড ভালো অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, তিনি শুরু থেকেই ভালো অভিনয় করছিলেন । আরও একবার তার ১০০ টা ১০০ তিনি দিয়েছেন প্রতিটি দৃশ্যে তার হাস্যরসাত্মক ডায়লগে প্রচন্ড এনজয় করেছে পুরো হলের দর্শক।
বলা যেতে পারে অন্যান্য শিল্পীদের তুলনায় নাসির উদ্দিন খান এ সিনেমায় একটু এগিয়ে ছিলেন।
শরিফুল রাজ তো নিজেকে ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছেন ইব্রাহিম চরিত্র তার ব্যতিক্রম তিনি করেননি কিছুটা ঠান্ডা বুদ্ধিমান শান্ত অভিনয় করেছেন এবং আরো একবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি।
এরপরে যদি তুশির কথা বলতে চাই একটু আলাদাভাবেই তুশির কথা বলতে চাই তার চরিত্রে খুব বেশি সংলাপ ছিল না শুধুমাত্র এক্সপ্রেশন আর শারীরিক ভঙ্গি দিয়ে তিনি অভিনয় করেছেন। এবং তার চোখ তার অভিনয়ে একটা বড় ভূমিকা পালন করেছেন।
অসাধারণ অভিনয় করেছেন তুসি।
একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন গুলতি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এই গুলতি চরিত্রের মধ্যে দিয়ে। আমার মনে হয়েছে একজন নারীর মধ্য দিয়ে গোটা নারী জাতিকে তুলে ধরেছেন সুমন।
এবং সেই নারী জাতের প্রতি আমাদের সমাজে যে পুরুষের লোলুপদৃষ্টি যেটি অপ্রয়োজনে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত এ বিষয়টি খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন সুমন সিনেমায়। এবং এই চরিত্রে তুসি ছাড়া অন্য কাউকে ভাবা যেত না এখানেই তার সব থেকে বড় প্রাপ্তি।
এখানে একটু আক্ষেপ ছিল যে শরিফুল রাজ আর তুসি যে চরিত্রে অভিনয় করছেন ইব্রাহিম আর বুলতি তাদের মধ্যে কেমিস্ট্রি বিল্ড আপ হলে ভালো লাগতো যে বিষয়টি ছিল না। কিন্তু তারা দুজন অভিনয় করে এটা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তার আসলে লম্বা রেসের ঘোড়া হতেই কিন্তু এখানে এসেছে।
এ ছাড়া আর কোন আরফান মৃধা শিবলু এবং মাহমুদুল আলম ও অভিনয়ের কোন কমতি রাখেননি। তারাও মনে রাখার মত অভিনয় করেছেন! একটা বিষয় বলে রাখতে চাই একটা জিনিস আমার খুব ভালো লেগেছে কোন চরিত্র কিন্তু মূল চরিত্র এবং পার্শ্বর চরিত্র নয়! এই বিষয়টি খুব মুখ্য করে দেখা হয়নি।
প্রত্যেকটি চরিত্রই অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়তো স্ক্রিন প্রেজেন্ট একটু তারতম্য ছিল কিন্তু এই চরিত্র ছাড়া সিনেমাটা নির্ময় করা হতো! সম্ভবত এরামটা কিন্তু মনে হয়নি।
প্রত্যেকটা চরিত্রের সমান গুরুত্ব দিয়ে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
অবশ্য হয়তো এমনই হয় যখন একদল পাক্কা অভিনেতা! কোন সিনেমার হাল ধরেন।
এবার জানাই গল্পের বিশ্লেষণ।
নির্মাতার কথা শুনে আর সিনেমা দেখে আমার যেটা মনে হয়েছে! যে সিনেমায় কিছু মেটা ফোর ব্যবহার করা হয়েছে।
চরিত্রগুলো কিছুটা ইন্সপায়ার্ড আমি বলব মনে হল সেটা হচ্ছে আপনি যদি বেহুলা গল্প জেনে থাকেন তাহলে আপনি হয়তো কিছুটা রিলেট করতে পারবেন।
চান মাসির চরিত্রে এবং ঘূলটির চরিত্রে সেরকম একটি ছায়া পাওয়া গেছে। এবং ইব্রাহিম চরিত্রটাও কিছুটা ইন্সপায়ার্ড মনে হয়েছে আমার। তবে গল্প একেবারেই ভিন্ন।
বাঙালি কুসংস্কার এবং রূপকথার একটা দারুন মিশ্রণ আছে গল্পে সেই সাথে গল্পের শেষে একটা প্রশ্ন ছুড়ে দেয়া হয়েছে যা আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে তবে সেটার আবার দুইটা ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়।
যৌক্তিক এবং অযৌক্তিক আপনি কোনটা বেছে নিতে চান সেটা আপনার বিষয় আমি দুটোই দাঁড় করিয়েছি।
অবশ্য আপনি যদি ডিসির সিনেমা দেখে সুপারম্যান আকাশে ওরে এটা বিশ্বাস করেন অথচ আমাদের দেশীয় লোকও কথায় আপনি হাসাহাসি করেন! সেটা নিয়ে আসলে আমার কিছু বলার নেই।
তো সবকিছু মিলিয়ে দুর্দান্ত একটি সিনেমা ছিল হাওয়া *সিনেমা* তবে আমরা যদিও ধরে নিয়েছিলাম এটি একটি স্লোগান আর্ট ফিল্ম হতে চলেছে দর্শক বিরক্ত হবে!
বাস্তবে আসলে সেরকমটা হয়নি এক মুহূর্তের জন্যও চোখ সরানো যায়নি পর্দা থেকে কিন্তু এটা আমার বলতেই হবে যে এটি আমার কাছে মনে হয়েছে একটি আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা নির্মাণ হয়েছে।
তবে কেন দর্শকের ভালো লাগবে না সেটি আমার জানার কথা নয় তবে আমার কাছে মনে হয় হাওয়া টিমের ভাগ্য খারাপ! এই সিনেমা যদি হলিউড বা ইংরেজি ভাষায় কেউ নির্মাণ করতো তাহলে হয়তো এই মা বড় না বউ বড় বাঙালি তাদের গুনো গান গাইতে গাইতে দিব্যি সিনেমা দেখে চিল করতেন।
এবং ফেসবুকে রেটিং দিতেন মাস্টার পিস।
সিনেমায় অনেক গালাগালি করা হয়েছে যা ইতিমধ্যে আপনারা শুনেছেন! জানিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে।
তবে এই বাঙালি এই পশ বাঙালি কিন্তু তারা আবার হলে বসে চিপস খেতে খেতে ইব্রাহিম চরিত্র টি দেখে হাসতে হাসতে পড়ে যাচ্ছিলেন।
অনেকে আবার তার সঙ্গে সঙ্গে গালিও দিয়ে উঠছিলেন! যাইহোক আমরা গালিগালাজ আসলে প্রমোট করতে চাই না।
ভাষার অসাধু ব্যবহার কখনো আসলে কাম্য নয়।
তবে আসলে আপনাকে বুঝতে হবে যে জেলেপাড়ায় বসবাস এক দল মাঝি বা অশিক্ষিত জেলে তারা কখনোই ভাষায় কথা বলবে না। তারা তাদের যেটা শিখে তারা বড় হয়েছে সেই ভাষায় কথা বলবে।
তাই আমার কাছে খুবই স্বাভাবিক লেগেছে আসলে বরং তারা গালি না দিয়ে কথা বললেই আমার কাছে অস্বস্তি লাগতো।
তবে যেহেতু সিনেমা হলে সব বয়সই দর্শক যাই সেহেতু গালিগুলো কি সেন শট করা উচিত ছিল কারণ কোন বিপ ব্যবহার করা হয়নি।
তাই অবশ্যই আপনারা সিনেমা হলে যাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং আমার একটি প্রশ্ন এখানে আসলে থেকেই গেছে।
কেন গালিগুলোকে সেন্সট না করে বিপ ব্যবহার না করে সেন্সর দেয়া হলো সিনেমাটাকে।
আরেকটি বিষয় চোখে লাগতে পারে সেটি হচ্ছে তুসির পোশাক বা পারফেক্ট মেকআপ! মাঝ সমুদ্রে ভেসে আসা একজন নারী কিভাবে পারফেক্ট মেকাপ নিয়ে থাকছেন! এটার এক্সপ্লেনেশন হয়তো দুটো হতে পারে এক হতে পারে কোন অতিপ্রাকৃত কিছু বা নির্মাতার ইচ্ছা।
তবে পোশাক নিয়ে যদি বলতে হয় আমাদের নদী পাড়ের। মা বোনেরা বা জেলেরা বেদিনীরা যে ধরনের পোশাক পরে সে ধরনের পোশাক সেভাবে পড়ানো হয়েছে এই রহস্যময় নারীকে।
সিনেমায় ক্যামেরার কাজ কালার গ্রেডিং এবং ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এ অসাধারণ কাজ হয়েছে যা আমরা ট্রেইলারেই ইঙ্গিত করেছিলাম।
খুবই দুর্দান্ত দুর্দান্ত কাজ হয়েছে এবং বাংলা সিনেমায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে এই তিনটি বিষয়ে অন্তত।
প্রত্যেকটি দৃশ্য দেখে শান্তি লেগেছে চোখে আরাম লেগেছে! গ্রাফিক্স ছাড়াও এত সুন্দর নিখুঁত কাজ দুর্দান্ত। প্রতিটি দৃশ্যই যেন ছিল এক রকমের জাদু। ওদিকে মোহনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। কি যে সুন্দর তবে শুরুতে ডায়লগ বুঝতে কিছুটা অসুবিধা হয়েছে।
আর ভাষা শুনতে অসুবিধা হওয়ার কথা কারোই না কারণ আমি খুলনা অঞ্চলের ছেলে আমি ওই ভাষা বুঝতে অসুবিধা হয়নি। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে শুরুর দিকে সিনেমায় আমি ডায়লক কম শুনতে পাচ্ছিলাম।
চরিত্র গুলোর সংলাপ কম শুনতে পাচ্ছিলাম। কিন্তু অন্যান্য আওয়াজ অনেক বেশি উপরে উঠে গেছিল।
আমি জানিনা তাহলে সমস্যা ছিল নাকি সিনেমার সমস্যা। তবে এটি একটু কানে লেগেছে।
এছাড়াও আমার কাছে মনে হয়েছে চরিত্রগুলো যদি আঞ্চলিকতাকে আরেকটু ধরতে পারতেন আরেকটু তারা রপতো করতেন তাহলে বিষয়টা আরো সুন্দর দাঁড়াতো।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার হয়তোবা ইতিমধ্যেই দেখেছেন যে হাওয়া সিনেমাটি ১৯৬৪ সালের বাংলা ছবি অভিযান এবং ২০১৪ সালের কোরিয়ান ছবি শিপ অংকের নকল।আগেই বলেছি বিভিন্ন চরিত্র থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে গল্প লেখা হয়েছে।
কিন্তু এর মানে ডাইরেক্ট এই নয় তিনি কোন সিনেমা থেকে কপি করেছেন সিনেমাটি এটি একদম আমার মনে হয় না।
আমি ওই দুইটা সিনেমাই অলরেডি দেখেছি আমার কাছে তিনটি গল্পই পুরাই ভিন্ন লেগেছে। যারা এই তিনটি সিনেমা দেখেছে তারাই বলতে পারবেন যে এই তিনটি সিনেমা একে অপরের থেকে একদমই আলাদা।
তা না হলে অভিযান থেকে কোরিয়ান সিনেমাটা নকল এমনটা কেন বলা হলো না বলেন?এনিওয়ে আসলে আমাদের দেশে আসলে লাখো জেলে জীবনযাপন করছেন সেরকমই এক জীবনযাপন থেকেই গল্প লেখা হয়েছে। তাহলে আপনি যদি নকল বলতে চান তাহলে বলতে পারেন আমাদের দেশের জেলারা কোন সিনেমার প্লট অম্বলে জীবন যাপন করছে।
ব্যাপারটি আসলে খুবই হাস্যকর।
একটি সাধারণ গল্পের সঙ্গে মাইকোলজিক্যাল একটা ছায়া দেয়া হয়েছে যা গল্পকে যথেষ্ট ইন্টারেস্টিং করে তোলে। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে অর্থলোপ ক্ষমতার নেশা নারীর প্রতি পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি থেকে শুরু করে কুসংস্কার। মানব চরিত্রের এবং সমাজের এরকম অনেকগুলো দিক সিনেমায় তুলে আনা হয়েছে। যা একদম নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
সবশেষ বলতে চাই।
প্রচন্ড রাগ আর কষ্ট নিয়ে সিনেমার হল থেকে বের হয়েছি সেই সাথে ছিল এক লাইফ টাইম অভিজ্ঞতা।
অনেকটা সময় অভিহিত হয়ে থাকার মত এমন অভিজ্ঞতা বাংলা সিনেমায় আমার নতুন! এবং আমার মনে হয়েছে যে একটা দেশের মেধার প্রমাণ রাখতে এমন সিনেমা বারবার তৈরি হওয়া উচিত।
এবং আমাদের দেখা উচিত।
তবে আপনার ভিন্ন মত থাকতেই পারে থাকবেই আপনি সিনেমা দেখে সিনেমা হলে গিয়ে আমাদেরকে জানাবেন। সিনেমাটি আপনার কেমন লেগেছে।
YouTube Monetization Offer
৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইবার নিন মাত্র ৩০৯০ টাকায়। ১০০% সেভ ওয়ে।
Contract Facebook: facebook.com/imran.sameya
আজকের মত এখানে ই শেষ করছি আশা করছি খুব শিগগিরই নতুন কিছু নিয়ে হাজির হচ্ছি সেই পর্যন্ত সাথেই থাকুন ট্রিকবিডির ধন্যবাদ।
The post কেমন ছিল হাওয়া ? °হাওয়া° কি সত্যিই আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা? appeared first on Trickbd.com.
from Trickbd.com https://ift.tt/tJwH90g
via IFTTT
No comments:
Post a Comment