• এসএসসি রেজাল্ট ২০১৯ । নাম্বার সহ এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষার ফলাফল ২০১৯Breaking News

    Monday, August 22, 2022

    New

    আসসালামু আলাইকুম.
    আশা করি সবাই ভালো আছেন,আর আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি।
    আজকে আবারও নতুন একটা টিপস নিয়ে হাজির হলাম
    আপনাদের মাঝে আমি আসিফ।

    অনেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে পছন্দ করেন না, সেটা কি বেশি খরচ হয়ে যাওয়ার ভয়ে?

    ক্রেডিট কার্ড নিলে, যেসব সুবিধা পাওয়া যায়,

    ১। তাৎক্ষণিক ভাবে কোনো প্রয়োজনে, নিজের কাছে নগদ টাকা বা একাউন্টে টাকা না থাকলেও, ক্রেডিট কার্ডের দ্বারা সেই প্রয়োজন মিটিয়ে নেয়া যায়, আটকে থাকে না।

    ২। নগদ টাকা হাতে বা একাউন্টে না থাকলেও, অনলাইনে, অফলাইনে, কেনাকাটা করতে অসুবিধে হয় না।

    ৩। কেনাকাটার ক্ষেত্রে, ক্রেডিট কার্ডে ডিসকাউন্ট, ক্যাশ ব্যাক এসব অফার থাকে, ফলে দামের দিক থেকে, কিছুটা সাশ্রয় হয়।

    ৩। ভ্রমণের ক্ষেত্রে, নগদ টাকা নিয়ে চলাফেরা করার একটা রিস্ক থেকেই যায়, ক্রেডিট কার্ড, সেই রিস্ক কে মিনিমাইজ করে দেয়।

    ৪। ক্রেডিট কার্ডের খরচের উপরে, reward points জমা হয়। সে reward points দিয়ে নানারকম জিনিষ কেনার অফার থাকে। তবে, ওসব জিনিষ এর দাম একটু বেশীই থাকে। আর দ্বিতীয় অপশন যেটা থাকে, reward points কে চাইলে encash করে, কার্ডের বিল কমানো যায়।

    ৫। ক্রেডিট কার্ডের বিল পেমেন্ট করার জন্য একটা billing cycle follow করা হয়।

    ধরা যাক, কারো ক্রেডিট কার্ডের লিমিট পাঁচ লাখ টাকা। Bill generation date 15th of each month এবং payment date 2nd of each month।

    এবার দেখা গেলো, কেউ কোনো মাসের 16 তারিখে ক্রেডিট কার্ডে চার লাখ টাকা খরচ করলেন। সেক্ষেত্রে, পরবর্তী মাসের 15 তারিখে বিল জেনারেট হবে, তো এখানে এক মাস সময় এবং বিল পেমেন্টের due date, বিল জেনারেট করার পরের মাসের দু তারিখ, অর্থাৎ, আরো প্রায় পনের, ষোলো দিন।

    তাহলে, মোটামুটি ভাবে ব্যাপারটা দাঁড়ালো এই যে, ওই চার লাখ টাকার বিল, প্রায় পয়তাল্লিশ দিন পরে পেমেন্ট করতে হচ্ছে, এবং এই 45 days এর জন্য, ওই চার লাখ টাকার উপর কোনো সুদ বা চার্জ দিতে হবে না। অর্থাৎ, the fund can be enjoyed for 45 days without paying any charge or interest।

    এই billing cycle, ব্যাংক বিশেষে একটু ভিন্ন রকমের হতে পারে, তবে, খরচ করার দিন থেকে বিল পেমেন্টের তারিখ অবধি, বিলের টাকার জন্য কোনো আলাদা টাকা পয়সা দিতে হবে না।

    ৬। ক্রেডিট কার্ডের বিল সময়ে পেমেন্ট করার ফলে, সিবিল স্কোর, ইতিবাচক ভাবে প্রভাবিত হয়।

    ৭। ক্রেডিট কার্ডের বিল, নির্দিষ্ট পরিমাণের উপরে, মাসিক কিস্তিতে পেমেন্ট করা যেতে পারে, সেক্ষেত্রে, সুদ, প্রসেসিং চার্জ, এসব পেমেন্ট করতে হবে।

    অসুবিধা,

    ১। হাতের কাছে নগদ টাকা না থাকলে, হয়তো খরচ করার ব্যাপারে ভাবনা, চিন্তা, করতে হয়, কিন্তু, ক্রেডিট কার্ড থাকলে, সে ভাবনা চিন্তা তেমন গুরুত্ব পায় না।

    ২। অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটার ক্ষেত্রে, ক্রেডিট কার্ড উৎসাহ যোগায়।

    ৩। ক্রেডিট কার্ড, point of sales এ ক্লোন হয়ে যেতে পারে,

    ৪। অনলাইন পারচেজ এর ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ডের তথ্যাদি হ্যাকড হয়ে যেতে পারে,

    সুতরাং, কার্ডের সুরক্ষার ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তার কারণ থেকেই যায়।

    ৫। ক্রেডিট কার্ডের বিল সময়মতো পেমেন্ট না করলে, সুদ দিতে হবে এবং এই defaulted payment will adversely affect the CIBIL score।

    ৬। ক্রেডিট কার্ড নিয়ে ব্যবহার না করলেও, এটার annual fee পেমেন্ট করতে হবে, তবে, অনেক ব্যাংকের ক্ষেত্রে annual fee এর ব্যাপারটা ফ্রী হতে পারে।

    অনেকেই ক্রেডিট কার্ড নিতে পছন্দ করেন না, সেটা কী বেশী খরচের কথা ভেবে ?

    অনেকটাই তাই,

    কারণ, হাতের কাছে থাকলেই, খরচের রাশ টানার লাগামটা আলগা হয়েই পড়ে।

    দ্বিতীয়ত: ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে জালিয়াতি হওয়ার মতো ঘটনার কারণেই, অনেকে নিরুৎসাহী থাকেন।

    গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা, সেটা হচ্ছে, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার পাশাপাশি, কার্ডের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা।

    ১। অনলাইনে যে সাইটে transaction করা হচ্ছে, সে সাইটটি নিরাপদ কী না ?

    ২। পেমেন্ট গেটওয়ে, ট্রাস্টেড কী না ?

    ৩। কার্ডের তথ্যাদি সাইটে সেভ করে রাখা হচ্ছে কী না। কিছু, কিছু, শপিং সাইট কার্ডের তথ্যাদি (except CVV) সেভ করে রাখে, উদ্দেশ্য যে পরবর্তী তে faster payment করতে সুবিধা হবে, শুধু CVV নম্বরটি দিতে হবে।

    তবে, সম্প্রতি সরকারীভাবেই এই সেভ করে রাখার ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছে এবং faster payment এর জন্য tokenisation চালু করার নির্দেশ রয়েছে।

    ৪। সাইবার ক্যাফে, বা অবিশ্বস্ত জায়গায় লগইন করে transaction করা হয়েছে কী না ?

    ৫। প্রতারকরা ফোনে ক্রেডিট কার্ডের তথ্যাদি জানতে চেয়ে ফোন করলে, কার্ডের ডিটেইলস divulge করা হচ্ছে কী না ?

    এসব ব্যাপারগুলিই গুরত্বপূর্ন।

    একজন ব্যবহারকারী সতর্কতা অবলম্বন করা সত্ত্বেও, ক্রেডিট কার্ডে জালিয়াতির মতো ঘটনা ঘটে যেতেই পারে,

    তবে, সেক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অনুসারে, তদন্ত সাপেক্ষে, সেই আর্থিক দায় সংশ্লিষ্ট কার্ড কোম্পানী বহন করবে, provided it is established that there was no deviation on the part of the credit card user in complying with the security measures of CARD।



    সবাইকে ধন্যবাদ।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম,হাজির হবো আরও নিত্য নতুন টিপস নিয়ে আমি আসিফ।
    আল্লাহ হাফেজ.

    The post ক্রেডিট কার্ড নিলে কী কী সুবিধা পাওয়া যায় এবং কী কী সমস্যা হয় জেনে নিন। appeared first on Trickbd.com.



    from Trickbd.com https://ift.tt/Kg3yTMA
    via IFTTT

    No comments:

    Post a Comment

    Fashion

    Beauty

    Travel