• এসএসসি রেজাল্ট ২০১৯ । নাম্বার সহ এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষার ফলাফল ২০১৯Breaking News

    Saturday, May 3, 2025

    New

    এবার চীনের হাতে ফাঁস হলো আমেরিকান ব্র্যান্ডের ভয়ংকর প্রতারণা! দেড় লাখ টাকার iPhone বানাতে খরচ মাত্র ১২ হাজার!


    যদি কেউ আপনাকে বলে, আপনি যে দেড় লাখ টাকায় আইফোন কিনেছেন, সেটির প্রকৃত নির্মাণ খরচ মাত্র ১২ হাজার টাকা, আপনি কি বিশ্বাস করবেন? প্রথমে শুনলে রীতিমতো অবিশ্বাস্য ঠেকে। মনে হতে পারে, এ নিশ্চয়ই কোনো কনস্পিরেসি থিওরি, কিংবা চীনের নতুন কোনো প্রপাগান্ডা। কিন্তু না, এ শুধু কোনো গুজব নয় এ একেবারে দলিল-সহ ভিডিও প্রমাণে ভাইরাল হওয়া ঘটনা, আর সেই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে চীন নিজেই।
    হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। যেসব ব্র্যান্ড নিয়ে বিশ্বজুড়ে লোভের সাম্রাজ্য তৈরি হয়েছে, যাদের লোগো দেখলেই গর্বে বুক ফুলে ওঠে, তারা আসলে আমাদের কাছ থেকে নিয়েছে শুধুই বিশ্বাস আর মোটা অঙ্কের অর্থ। দেড় লাখ টাকার iPhone এর পেছনে খরচ হচ্ছে মাত্র ১২ হাজার টাকা!

    ব্র্যান্ড শব্দটার পেছনে কতটা অন্ধবিশ্বাস ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল আমাদের মধ্যে, এবার যেন তার মুখোশ খুলে গেল চীনের এক মারাত্মক পদক্ষেপে।
    চীনের এই ফাঁসের শুরুটা ছিল একেবারে স্ট্র্যাটেজিক। যুক্তরাষ্ট্র যখন চীনের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ে যায়, তখন মনে করা হচ্ছিল, আমেরিকা বুঝি জিতে যাচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধে। চীনকে নতজানু করতেই যেন ছিল এই প্রচেষ্টা। কিন্তু চীন যে এত সহজে হার মানবে না, তা হয়তো অনেকেই আন্দাজ করতে পারেনি। পাল্টা জবাবে চীন শুধু শুল্কের পাল্টা শুল্কই দেয়নি, বরং শুরু করে দিল একের পর এক ভিডিও ফাঁস, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের নামিদামি ব্র্যান্ডগুলোর নির্মাণ খরচ ও বাস্তব দামের তুলনামূলক চিত্র প্রকাশ করে দেওয়া হয় বিশ্বের সামনে।
    চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘টিকটক’ থেকে শুরু করে উইবো, দোয়িন, বিডি ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে এমন সব ভিডিও, যেগুলোতে দেখা যাচ্ছে কিভাবে ডিওর, গুচি, চ্যানেল, লুই ভুইটনের মতো নামিদামি ব্র্যান্ডের একেকটা পণ্য আসলে কত দামে বানানো হয়, আর কত দামে আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়।

    একটা ব্যাগ, যার নির্মাণ খরচ মাত্র ২১ হাজার টাকা, সেটাই আমরা কিনছি ৩০ লাখ টাকায়!
    এই লাইনটা হয়তো শুনে মনে হতে পারে, এ নিশ্চয়ই ক exaggeration। কিন্তু না, এটা কোনো গল্প নয়, বরং চীনের কারখানায় ক্যামেরাবন্দি বাস্তবতা। বিশ্লেষকদের মতে, যেহেতু এই সব পণ্য মূলত চীনের কারখানাতেই তৈরি হয়, তাই চীনের কাছে রয়েছে সেই উৎপাদনের নির্ভরযোগ্য তথ্য। এটাই এখন চীনের সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
    চীনের এই ভিডিওগুলোতে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে ডিওরের একজোড়া হিল, যার খরচ বাংলাদেশি টাকায় মাত্র পাঁচ হাজার টাকা। অথচ সেই হিল মার্কেট প্রাইসে বিক্রি হচ্ছে দেড় লাখে। Louis Vuitton-এর হর্স লেদার ব্যাগ যেটি তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ২১ হাজারের মতো, বিক্রি হচ্ছে ৩০ লাখের বেশি দামে! কিন্তু সবচেয়ে বড় চমকটি ছিল Apple-এর iPhone নিয়ে।

    চীনের ফাঁস অনুযায়ী, একটি আইফোনের যাবতীয় যন্ত্রাংশ, স্ক্রিন, বোর্ড, ক্যামেরা, ব্যাটারি সবকিছু মিলিয়ে খরচ পড়ে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা!
    আর সেই ফোনটাই মার্কেটে বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে দুই লাখ টাকায়। কেউ যদি কাস্টমাইজেশন করে নেয়, তাহলে তো হিসাবের বাইরে! এই সংখ্যাগুলো শুনে অনেকে হয়তো প্রথমে হাসবেন, তারপর চমকে যাবেন, আর শেষে রাগে ফেটে পড়বেন। কারণ এই ফাঁস কেবল মূল্য সংক্রান্ত নয়, এটি একেবারে সেই বিশ্বাসের জগতেই আঘাত হানে, যেখানে ‘ব্র্যান্ড মানেই গুণগত মান’ বলে ধরে নেওয়া হয়।
    বিশ্বজুড়ে যে এক লাক্সারি হ্যালুসিনেশন চালু হয়েছে, তার পেছনে রয়েছে এই ব্র্যান্ড গ্ল্যামারের বুদবুদ। অথচ চীন এখন দেখিয়ে দিচ্ছে, সেই বুদবুদ ভেঙে গেলে কী অবস্থা দাঁড়ায়।

    আর চীন এখানেই থেমে থাকেনি।
    শুধু তথ্য ফাঁস নয়, তারা সরাসরি সেই একই ডিজাইনের, একই ম্যাটেরিয়ালের, একই কারিগরি জ্ঞান ব্যবহার করে তৈরি করছে প্রায় হুবহু পণ্য শুধু ব্র্যান্ড লোগো ছাড়া! আর এই পণ্যগুলো চীনের নিজস্ব অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিক্রি হচ্ছে মূল ব্র্যান্ড দামের এক দশমাংশে!
    ধরুন আপনি যদি সেই একই মানের হ্যান্ডব্যাগ কিনতে চান, যা চ্যানেলের দোকানে ১২ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তাহলে চীনের একটি অনলাইন শপ থেকে মাত্র ১৫ হাজার টাকায় তা পেতে পারেন! শুধু ব্র্যান্ড নেই, বাকি সব আছে।
    বিশ্লেষকরা বলছেন, এ যেন এক বাণিজ্যিক ভূমিকম্প। কেবল মার্কিন অর্থনীতির পণ্য বিক্রির ওপর নয়, এর প্রভাব পড়ছে ব্র্যান্ড ভ্যালুর ধারণার ওপরও। এতদিন মানুষ ভাবত, দাম মানেই মান, দাম মানেই গ্যারান্টি। কিন্তু চীনের ফাঁস করা এই ভিডিওগুলো সেই ধারণাকে একেবারে শূন্য করে দিচ্ছে।

    এবার প্রশ্ন উঠছে তাহলে এতদিন কি আমরা প্রতারিতই হচ্ছিলাম
    এই প্রশ্নের উত্তর অনেকটা (হ্যাঁ) বলেই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে। চীনের হাতে থাকা নির্মাণ খরচের ডকুমেন্টস ও প্রমাণসমূহ এখন জনসাধারণের কাছে এতটাই বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যে একে আর নিছক গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
    এখানে লক্ষ্য করার মতো আরেকটি ব্যাপার হলো, এতদিন চীনকে বিশ্বের কেবল সস্তা পণ্যের নির্মাতা হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু এখন তারা নিজেদের প্রযুক্তি, উৎপাদন দক্ষতা এবং নন-ব্র্যান্ডেড অথচ কোয়ালিটি পণ্য দিয়ে প্রমাণ করছে ব্র্যান্ড ছাড়া গুণগত মান থাকা সম্ভব।
    আর এখানেই যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দুনিয়ার বড় একটা নৈতিক ধাক্কা খেয়েছে।
    এই পুরো নাটকের পেছনে রয়েছে এক নিখুঁত কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্ট্র্যাটেজি।
    চীনের বিশ্লেষকগণ বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপ করে চীনের বাজারে আঘাত করতে চাইল, তখন চীন সরাসরি কোনো সামরিক বা কূটনৈতিক উত্তরের বদলে তথ্যকে অস্ত্র বানিয়ে একেবারে ভিতর থেকে মার্কিন লাক্সারি ইমেজকে ভেঙে দিল।
    যার ফল, কেবল ফেসবুক বা ইউটিউবেই নয় ইনস্টাগ্রাম, রেডিট, টুইটারজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে #LuxuryScam, #BrandFraud, #iPhoneCostExposed এর মতো ট্রেন্ড। বিশেষ করে ইয়ুদের মধ্যে এই ট্রেন্ড এক ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। কেউ কেউ তাদের কেনা ব্যাগ বা জুতা পুড়িয়ে সেই ভিডিও আপলোড করছে লেখা দিচ্ছে, Never again fooled.
    এই ভয়ংকর তথ্য ফাঁসের পর যেন জেগে উঠেছে এক ঘুমন্ত বিশ্ববাজার। এতদিন ধরে যে ব্র্যান্ডগুলোকে বিশ্ববাসী চোখ বুঁজে বিশ্বাস করেছে, সেই ব্র্যান্ডগুলোর এই প্রতারণার মুখোশ খুলে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে এক নতুন আলোড়ন। আর এই আলোড়নের কেন্দ্রে এখন চীন। কারণ এসব তথ্য কেবল গুজব নয়, বরং ফ্যাক্টরির ভিডিও, খরচের হিসাব ও বিশ্লেষকদের মতামতের ওপর ভিত্তি করে একের পর এক সোর্স-সহ ডেটা তুলে ধরেছে তারা।
    বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ জু চেনহুয়া, যিনি চীনের সাংহাই ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিক অ্যানালাইসিসের সিনিয়র রিসার্চার, চায়না ডেইলি-কে বলেন, (চীন শুধু প্রোডাকশন প্লান্ট বা ল্যাব নয়, এখন তথ্যের ক্ষমতা দিয়ে মার্কিন ব্র্যান্ডগুলোর ওপর এক ধরনের সাইকোলজিকাল প্রভাব বিস্তার করছে। তাদের এই খোলামেলা তথ্য ফাঁসের মাধ্যমে তারা বিশ্বব্যাপী কনজিউমারদের মধ্যে নতুন সচেতনতা তৈরি করে দিচ্ছে।)
    এই তথ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অ্যাপলের মতো কোম্পানিগুলো, যারা নিজেদের প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড হিসেবে উপস্থাপন করে। iPhone-কে একধরনের স্ট্যাটাস সিম্বলের মতো করে তোলা হয়েছিল, যেখানে দাম ১.৫ লাখ টাকা অবধি পৌঁছালেও মূল নির্মাণ খরচ চীনের গ্লোবাল টাইমস অনুযায়ী মাত্র ১২ হাজার টাকার মতো। এতে বোঝা যাচ্ছে, প্রোডাকশন খরচের অন্তত ১২ গুণ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে এই প্রোডাক্ট।
    চীন ফাঁস করেছে শুধু খরচের অঙ্কই নয়, বরং প্রোডাকশনের ভিডিও যেখানে দেখা যায়, কীভাবে সস্তা রো-ম্যাটেরিয়াল, সাধারণ লাইন-প্রডাকশন সিস্টেম আর স্ট্যান্ডার্ড স্ক্রু-মেশিনে বানানো হচ্ছে এই মহামূল্যবান ফোন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এসব ভিডিওতে একজন ফ্যাক্টরি ওয়ার্কারকে বলতে শোনা যায়, একটা iPhone বানাতে আমাদের সময় লাগে গড়ে ১৫ মিনিট। যন্ত্রাংশের দামের থেকেও বেশি আমরা দিচ্ছি এয়ার কন্ডিশনের বিল।
    আর এখানেই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠে দাঁড়িয়েছে আপনি কি কেবল একটি লোগোর জন্য লাখ টাকা দিচ্ছেন? সত্যিই কি একটি অ্যাপল লোগো আপনাকে বাস্তবে অতিরিক্ত সুবিধা দিচ্ছে, না কি এটি কেবল এক ধরনের (ইলিউশন অব এলিটনেস)
    একটা বিভ্রম, যেটি মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে?
    বিশ্বজুড়ে মানুষ এখন আস্তে আস্তে বুঝতে শুরু করেছে এই মেকি লাক্সারি-র খেলা। চীনের তৈরি নো-লোগো সংস্করণগুলো এখন নিজের দেশের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হচ্ছে আসল দামেই। অর্থাৎ, একজন চীনা নাগরিক যখন iPhone-এর হুবহু একই যন্ত্রাংশ, একই স্ক্রিন ও একই সফটওয়্যার ফিচারসহ একটি ফোন কিনছেন মাত্র ১৫ হাজার টাকায়, তখন প্রশ্ন উঠছে আমরা কেন দিচ্ছি দেড় লাখ?

    চীনা মার্কেটপ্লেস Taobao, Pinduoduo এবং 1688-তে এখন হু-হু করে বাড়ছে এই লোগো বিহীন প্রোডাক্টের চাহিদা। এই চাহিদা দেখে অ্যালি রিসার্চ জানাচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যেই শুধু নো-লোগো লাক্সারি প্রোডাক্টের বাজার মূল্য দাঁড়াতে পারে প্রায় ৮৫ বিলিয়ন ডলারে। এই অঙ্কের অর্থ হলো ভোক্তারা নিজেদের চোখ খুলতে শুরু করেছে, তারা এখন কনটেন্ট চায়, লোগো নয়।
    তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এত সহজে হার মানার নয়। Wall Street Journal জানায়, অ্যাপল ও অন্যান্য বড় বড় ব্র্যান্ডগুলো এখন চীনের এই ফাঁস হওয়া তথ্যে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা বলছে, এই ভিডিও ও তথ্যে অনেক ইন্ডাস্ট্রি সিক্রেট রয়েছে, যা ফাঁস হওয়াটা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের শামিল। তবে চীনের আইন বিশেষজ্ঞ লিউ ফান বলেন, (যেখানে প্রোডাকশন চাইনিজ কারখানায় হচ্ছে, সেখানে তাদের নিজস্ব নির্মাণ খরচ জানানো কোনোভাবেই বেআইনি নয়। বরং এই তথ্য ফাঁস, ভোক্তাদের অধিকার রক্ষার পক্ষেই যায়।)
    এখানে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, এতদিন চীনকে নকলের কারখানা বলে যে যুক্তরাষ্ট্র কটাক্ষ করত, সেই চীন এখন নিজেই লাক্সারির মুখোশ খুলে পৃথিবীকে দেখাচ্ছে এক নির্মম বাস্তবতা। এবং সেই বাস্তবতা হলো লাক্সারি ব্র্যান্ড মানেই মানসম্পন্ন নয়, বরং তা এক প্রকার দামি মোহ, যা বানানো হয়েছে অত্যন্ত সস্তা খরচে।
    বিশ্লেষকেরা বলছেন, যদি এই ধারা বজায় থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে মানুষ Made in China আর Designed in California এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করবে না। তখন একটি ফোন বা ব্যাগের মূল্য নির্ধারণ হবে সেটার কার্যকারিতা ও রিয়েল ভ্যালুর উপর, ব্র্যান্ড লোগোর মোহ নয়।
    চীনের এই পদক্ষেপ শুধু মার্কিন ব্র্যান্ড নয়, বরং গোটা বিশ্বের ভোক্তা-সংস্কৃতিকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা যারা এতদিন ধরে চোখ বুজে দেড় লাখ টাকায় একটি ফোন কিনতাম, আমাদেরও এখন ভাবতে হচ্ছে কী দেখেই আমরা এতটা মূল্য দিতাম? হয়তো শুধুই একটা আপেল চিহ্ন, কিংবা ভেতরে খাঁটি না থাকা সত্ত্বেও একটা বিলাসবহুল চেহারা!
    এই প্রশ্নগুলো শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ে নয়, বরং এখন উঠছে সরকারিভাবেও। ইউরোপের অনেক দেশ এরই মধ্যে শুরু করেছে রিয়েল ভ্যালু ফর প্রাইস-এর ওপর রিসার্চ। ভারতেও ফার্মাসিউটিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক ব্র্যান্ডগুলোর উপর শুরু হয়েছে নতুন ধরনের তদন্ত। আর এই পুরো ঝড়ের কেন্দ্রে একটাই দেশ চীন।
    অবশেষে বলা যায়, তথ্য যখন অস্ত্র হয়ে ওঠে, তখন তার শক্তি হয় পরমাণুর চেয়েও বড়। আর চীন আজ সেই তথ্য-পরমাণু ছুঁড়ে দিয়েছে আমেরিকান ব্র্যান্ডগুলোর ওপর। প্রশ্ন এখন একটাই এই ফাঁসের পর বিশ্বভোক্তা কি চোখ খুলবে? নাকি আবারও লোগোর মোহে হারিয়ে যাবে সত্যিকারের মূল্যবোধ?

    শেষ কথা:


    এই এক্সপোজারের ধাক্কা যত গভীরে যাচ্ছে, ততই বদলে যাচ্ছে মানুষের চিন্তার প্যাটার্ন। হয়তো এই যুগান্তকারী তথ্য ফাঁসের কল্যাণেই আমরা নতুন করে ভাবব লাক্সারি মানেই কি উচ্চমূল্য? নাকি এটা শুধুই এক চিত্রনাট্য, যার মূল চরিত্র আসলে আমাদের অজ্ঞতা?

    The post এবার চীনের হাতে ফাঁস হলো আমেরিকান ব্র্যান্ডের ভয়ংকর প্রতারণা! দেড় লাখ টাকার iPhone বানাতে খরচ মাত্র ১২ হাজার! appeared first on Trickbd.com.



    from Trickbd.com https://ift.tt/krWdMcg
    via IFTTT

    No comments:

    Post a Comment

    Fashion

    Beauty

    Travel