ঘূর্ণিঝড়
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন।অনেক দিন পরে আপনাদের সামনে আসার সুযোগ হলো।আজ সারা দিনটা ফ্রি,তাই চিন্তা করলাম ট্রিকবিডি তে একটা পোস্ট করা যাক।নিস সিলেক্ট করতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড় নির্বাচন না করে পারলাম না।আসা করি ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ন ব্লগটি পড়বেন ।
ঘূর্ণিঝড় কি:
ঘূর্ণিঝড় হলো একটি প্রাকৃতিক আপদাক্রান্তি যা সাম্প্রতিক সময়ে আবারও বিপুল মাত্রায় লোকের জীবন এবং সম্পদ ধ্বংস করতে পারে। এটি একটি বড় তীব্র চলমান বাতাসের সম্ভাব্য ফলাফল যা একটি কণিকা নীচে বেগবান বা আন্তর্জালে বাতাসের গতি দ্বারা উত্পন্ন হয়। ঘূর্ণিঝড় মার্চ থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে প্রভৃতি দেওয়া হয়।
এটি একটি অত্যন্ত জোরবহুল বাতাসের কণিকা প্রবাহ যা সামগ্রিকভাবে একটি ঘূর্ণিঝড়ের আকার ধারণ করে। এই ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতি এত শক্তিশালী হয় যে এটি বৃষ্টিপাত, জ্বলন্ত আলো এবং পুনরায় নির্দিষ্ট শক্তির পরিমাণ সহ বিভিন্ন প্রকার আপদাক্রান্তির কারণে হতাহত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কারণ :
ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রধান কারণ হল তাপমাত্রার পার্থক্য এবং বাতাসের চলাচলের পরিবর্তন। মূলত, ঘূর্ণিঝড় উত্পন্ন হয় যখন স্থানীয় বাতাসের উষ্ণতা ও শুষ্কতা একটি স্থানের পাশাপাশি একটি অন্য স্থানের উষ্ণতা ও শুষ্কতার সাথে পার্থক্য পায়। এই তাপমাত্রার পার্থক্য বাতাসের চলাচলে বিপুল প্রভাব বিস্তারিত হয়।
যেমনঃ প্রাকৃতিক ঘর্ষণ বা মঞ্চপথের মধ্যে একটি ক্ষেত্রে উষ্ণ বাতাস উচ্চমাত্রায় উঠে এবং শুষ্ক বাতাস নিচে নেমে যায়। এটি তাপমাত্রার পার্থক্য সৃষ্টি করে এবং তাপমাত্রা একই স্থানে নয় তখন এই পার্থক্যের স্পন্দন দ্বারা বাতাসে উচ্চমাত্রায় বেগবান চলাচল উত্পন্ন হয়।
এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য আরও কারণগুলি থাকতে পারে, যেমন অশান্ত সমুদ্র।
বাংলাদেশে সংঘটিত ঘূর্ণিঝড়:
ঘূর্ণিঝড় ভগীরথী:
১৯৮৫ সালের ঘূর্ণিঝড় একটি প্রকৃতিক আপদ ছিল, যা বাংলাদেশে বেশ ভীষণ ধ্বংসকারী হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম ছিল “ভগীরথী”। এই ঘূর্ণিঝড় নভেম্বর ১৩, ১৯৮৫ তারিখে বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল বিভাগে আঘাত হয়।
ঘূর্ণিঝড় “ভগীরথী” একটি বিশেষভাবে শক্তিশালী সাইক্লোনিক ঘূর্ণিঝড় ছিল, যা সহজেই শক্তিশালী উচ্চ বাতাসের পাওয়া গিয়েছিল। এটি আশ্চর্য নয় যে এই ঘূর্ণিঝড়ে বৃষ্টিপাত, তীব্র বাতাসের গতি, ওলঙ্গ উচ্চ মেঘমালা, জ্বলন্ত প্রকাশ এবং সমুদ্রের উচ্চ মাত্রা ছিল। এটি বাংলাদেশে বিদ্যমান বিভিন্ন অঞ্চলে উচ্চমাত্রা বা টাইডল সারে উঠার কারণে জীবনধ্বংস, বাসপাতাল সংহার, পানিবন্যাস ও প্রযুক্তির অপচয় সহ বিপুল ক্ষতি উত্পাদন করে।
১৯৯১ এর ঘূর্ণিঝড়:
নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে এই ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ১২-২২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের প্রবল ঘূর্ণিঝড়টিতে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ২২৫ কিলোমিটার।
১৯৯১ সালের ২৯-৩০শে এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়কে আখ্যা দেয়া হয় ‘শতাব্দীর প্রচণ্ডতম ঘূর্ণিঝড়’ হিসেবে যাতে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ মারা যায় বলে জানা যায়। যদিও বেসরকারি সংগঠনের দাবি অনেক মাছধরার ট্রলার সাগরে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন আরও অনেকে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় এক কোটি মানুষ।আবহাওয়া বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা মিস্টার আলম বলেন, “এই সাইক্লোনে অনেক পানি হয়েছিল। অনেক মানুষ মারাও গিয়েছে। যদিও পূর্বাভাস ভালো ছিল, ২৭ ঘণ্টা আগে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল।”
“কিন্তু ছয়ঘণ্টা ধরে স্থলভাগে আসে এবং তাণ্ডব চালায় এই সাইক্লোনটি।”
তিনি বলেন, “সাধারণত ২/৩ ঘণ্টার বেশি সাইক্লোন থাকেনা। কিন্তু এটি ছয়-ঘণ্টার বেশি সময় বাতাস বইতে থাকে”।
মিস্টার শাহ আলম জানান, ২২৪ কিলোমিটার বেগে আসা এই ঘূর্ণিঝড়ে তেলের ট্যাংকার পর্যন্ত ওপরে উঠে গিয়েছিল।
ঘূর্ণিঝড় সিডর:
সিডর (Cyclone Sidr) বাংলাদেশে ২০০৭ সালে সংঘটিত একটি প্রকৃতিক আপদ ছিল। এই ঘূর্ণিঝড়টির সাথে একটি সুস্থিতিশীল সাইক্লোনিক ঘূর্ণিঝড় ছিল যা আদ্যতমে মাকসিমামের জন্য পরিচিত। সিডর ১৫ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল ও পাটুয়াখালী বিভাগগুলিতে আঘাত হয়েছিল।
সিডর বাংলাদেশে একটি অত্যন্ত ভীষণ ঘূর্ণিঝড় ছিল যা দেশের উচ্চ বাতাসের গতি, প্রাকৃতিক ঘর্ষণ এবং তাপমাত্রার পার্থক্যের সঙ্গে মিলিত ছিল। এটি অত্যন্ত প্রভাবশালী বৃষ্টিপাত, তীব্র বাতাসের চলাচল, টাইডল সারের বৃদ্ধি, ভয়াবহ ঢেউ উচ্চমাত্রা এবং উচ্চমাত্রায় সমুদ্র নিম্নতা সহ বিভিন্ন ক্ষতিসমূহ সহন করে। এর আশেপাশের এলাকাগুলি উপভোগ করেছে বৃষ্টিপাত, সমুদ্রের জলপ্রপাত, পানিবন্যাস।
ঘূর্ণিঝড় আইলা:
আইলা বা সুপার সিক্লোন হলো একটি বিশেষ ধরনের ঘূর্ণিঝড় যা আকাশে প্রবাহিত হয়। এই ঘূর্ণিঝড়গুলি বিশেষভাবে শক্তিশালী হয়ে থাকে এবং বিশেষভাবে জীবন ধ্বংসকারী হতে পারে। আইলা সাধারণত সুষম ও শুষ্ক হওয়ার জন্য একটি খুব ভয়ানক আকার ধারণ করে যা সাধারণত উন্নয়নশীল সমুদ্র এলাকাগুলিতে ঘটে।
সুপার সিক্লোন বা আইলা অনেকবার দক্ষিণ এশিয়ার উত্তর-পূর্ব এলাকাগুলিতে দেখা যায়, যেমন বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনস ইত্যাদি দেশ। এই সিক্লোনগুলি সাধারণত শীতল সমদ্বীপীয় মহাসাগরে উত্পন্ন হয়। সুপার সিক্লোনগুলি বায়ু ও সমুদ্রের তাপমাত্রা পার্থক্যের ফলে উত্থিত হয় এবং সাধারণত দক্ষিণ এশিয়াতে গতি লাভ করে।
ঘূর্ণিঝড় থেকে বাঁচার জন্য নিম্নলিখিত
উপায়গুলি মেনে চলা উচিত:
1. পূর্ববর্তী তথ্য ও সচেতনতা: সঠিক তথ্য এবং ঘূর্ণিঝড়ের আগামবার্তা পেতে এবং ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ও আপদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে প্রয়োজন। প্রকৃতির সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন, ওয়েবসাইট ইত্যাদি থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন।
2. প্রাকীর্ণ পর্যটন এবং জনসমাবেশ: ঘূর্ণিঝড়ের আগামে যদি সম্ভব হয়, আপনার নিজের সুরক্ষা জন্য নিরাপদ একটি পর্যটন স্থলে চলে যান বা নিরাপদ জনসমাবেশে থাকুন। বিভিন্ন সরকারী এবং গোপনীয় সংস্থা যাতায়াত নীতিমালা মেনে চলুন।
3. আবাসিক সুরক্ষা: যখন ঘূর্ণিঝড়ের আগাম বা বিপর্যয়ের সময় হয়, নিরাপত্তামূলক এবং সুরক্ষিত একটি আবাসিক স্থানে অবস্থান করুন।
Sayonara🫸🫷
The post ঘূর্ণিঝড় কি,কেনো হয় এবং বাঁচার উপায় সব এক পোস্টেই জেনে নিন। appeared first on Trickbd.com.
from Trickbd.com https://ift.tt/PQqk4fg
via IFTTT
No comments:
Post a Comment