• এসএসসি রেজাল্ট ২০১৯ । নাম্বার সহ এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষার ফলাফল ২০১৯Breaking News

    Thursday, April 7, 2022

    New

    kih-lagbe.blogspot.com


    আসসালামু আলাইকুম! 

    আজকের এই পোস্ট-এ আপনাকে স্বাগতম। আশা করছি পুরো পোস্ট-টি মনোযোগ এবং ধৈর্য সহকারে পড়বেন।

    তো কেমন আছেন সবাই? 

    আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালোই আছেন।

    আজকে আলোচনা করব বর্তমানের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলো যেমন গুগল, ইউটিউব ইত্যাদি তৈরি করতে যে সকল প্রোগ্রামিং ভাষার ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়ে।

    আমরা জানি ওয়েবসাইট সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে যেমন স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট এবং ডায়নামিক ওয়েবসাইট।

    1. স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট – এই ওয়েবসাইট গুলি সাধারণত এইচটিএমএল এবং সিএসএস ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট এর কনটেন্ট সাধারণত নির্দিষ্ট হয়ে থাকে। এ ধরনের ওয়েবসাইট গুলি একমুখী হয়ে থাকে অর্থাৎ কোন ইউজার ওয়েবসাইটে তথ্য প্রদান বা আপডেট করতে পারে না। এ ধরনের ওয়েবসাইটের সাথে কোন ডাটাবেস সংযুক্ত থাকে না। এই ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে খুব কম টাকা খরচ হয় এবং ওয়েবসাইটের উন্নয়ন বা নিয়ন্ত্রণ করতে কোন প্রকার ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় না অর্থাৎ খুব সহজেই স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ করা যায়। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটগুলি সাধারণত অনেক দ্রুত লোডিং হয়ে থাকে।

    2. ডাইনামিক ওয়েবসাইট – সাধারণত যে সকল ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর ওয়েব পেজে থাকা ডেটা’র মান বা অন্যান্য তথ্য পরিবর্তন করা যায় বা পরিবর্তিত হয় এ ধরনের ওয়েবসাইটগুলি কে ডায়নামিক ওয়েবসাইট বলে। ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য এইচটিএমএল ভাষা ছাড়াও আরো অনেক স্ক্রিপ্টিং ভাষা ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ পাইথন, পিএইচপি, জাভাস্ক্রিপ্ট ইত্যাদি।

    ডাইনামিক ওয়েবসাইটের তথ্য ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়ে থাকে। যেহেতু ডাইনামিক ওয়েবসাইটে ডেটাবেজ ব্যবহৃত হয় যার জন্য ব্যবহারকারী চাইলে কুয়েরির মাধ্যমে তথ্য বের করতে পারে। ডাইনামিক ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এবং তা স্টোর করে রাখতে সক্ষম।



    1. গুগল (Google)

    গুগল হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া সার্চ ইন্জিন। এটি একটি আমেরিকান মাল্টিন্যাশনাল টেকনোলজি বেজড কোম্পানী। 

    গুগল আমাদের ইন্টারনেট রিলেটেড বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে আছে সার্চ ইন্জিন সেবা, অনলাইন বিজ্ঞাপন সেবা, ক্লাউড কম্পিউটিং,  সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ইত্যাদি। এটি 4 সেপ্টেম্বর 1998 সালে Larry Page এবং Sergey Brin নামে দুজন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠিত করেন। গুগলের বার্ষিক আয় 256.7 billion U.S ডলারস। এদের অফিসে কর্মরত ব্যক্তির সংখ্যা হচ্ছে 139, 995 (2021)

    Front-end ~ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ

    গুগল তাদের ফ্রন্ট-এন্ড এ ব্যবহার করেছে

    • JavaScript 
    • TypeScript

     JavaScript   অনেক জনপ্রিয় একটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ হচ্ছে JavaScript. পৃথিবীর  97% ওয়েবসাইট তাদের ক্লায়েন্ট সাইডে জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে থাকে। জাভাস্ক্রিপ্ট ওয়েবপেজ এর বিহেভিয়ার কন্ট্রোল করে। তাছাড়া জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে আরও অনেক কাজ করা যায়। এটি একটি হাই লেভেল এর প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। এটি ডিজাইন করেন Brendan Eich এবং প্রথম এটি December 4  1995 প্রকাশ হয়।

     TypeScript – টাইপস্ক্রিপ্ট একটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যা Microsoft এর দ্বারা তৈরী এবং তারাই এটি কন্ট্রোল করে। টাইপস্ক্রিপ্ট বড় বড় অ্যাপ্লিকেশন তৈরী করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। টাইপস্ক্রিপ্ট হচ্ছে জাভাস্ক্রিপ্ট এর সুপারসেট অর্থাৎ একটি জাভাস্ক্রিপ্ট প্রোগ্রামও বৈধ টাইপস্ক্রিপ্ট প্রোগ্রাম। জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে অ্যাপ্লিকেশন তৈরী করতে সার্ভার সাইড অথবা ক্লায়েন্ট সাইড দুই জায়গায় ই টাইপস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা যায়। টাইপস্ক্রিপ্ট এর যে কম্পাইলার সেটাও টাইপস্ক্রিপ্ট দিয়েই প্রোগ্রাম করা হয়েছে। টাইপস্ক্রিপ্ট সর্বপ্রথম October 2012 তে প্রকাশ পায়।

    Back-end (Server-side)  ল্যাংগুয়েজ


    গুগল তাদের ব্যাক-এন্ড এ ব্যবহার করেছে –

    •  C
    • C++
    •  Go
    • Java
    • Python
    • Node

    এগুলোর মাধ্যমেই গুগল তাদের ইউজারদের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করে। মানে আমরা যখন গুগল থেকে কোন তথ্য রিকোয়েস্ট করি এবং  সেগুলো আমরা তৎক্ষনাৎ পেয়ে যাই। এই চাওয়া-পাওয়া ব্যপারটাই সম্ভব  করেছে উপরের ল্যাংগুয়েজগুলো।

     C হচ্ছে একটি প্রোগ্রামিং ভাষা। এটি প্রথম 1972 সালে প্রকাশ পায়। C ডিজাইন বা তৈরী করেছেন Dennis Ritchie এবং Bell Labs. সি (C) তৈরি করা হয়েছিল মূলত ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম এর কোড লেখার জন্য কিন্তু  অচিরেই এটি একটি বহুলব্যবহৃত ভাষায় পরিণত হয়। সি এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে এতে রচিত প্রোগ্রাম যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটারে চালানো যায়।

     C++ – হচ্ছে C ভাষার একটি বর্ধিতাংশ রূপ। এটি 1980 সালে Bjarne Stroustrup নামে ব্যক্তি ডেভেলপ করেন। এটি মূলত Simula এবং C ভাষার সুবিধাজনক বৈশিষ্ট্যগুলোর সমন্বয় করে তৈরী করা হয়। সময়ের সাথে সাথে সি++ এর ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমান আধুনিক সি++ নিম্ন মানের স্মৃতি ম্যানিপুলেশন ছাড়াও রয়েছে অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড এবং আরও অনেক ফিচারস। 

     Go – হচ্ছে একটি প্রোগ্রামিং ভাষা এবং এটি 2007 সালে Google এ ডেভেলপ করা হয়। গুগলের তিনজন কর্মকর্তা Robert Griesemer, Rob Pike এবং Ken Thompson  এটি নির্মাণ করেন। এটি স্ট্যাটিক টাইপড ল্যাংগুয়েজ এবং এর সিনট্যাক্স সি প্রোগ্রামিং এর মতোই। তবে এটিতে রয়েছে Memory Safety, Garbage Collection, Structural Typing এবং CSP টাইপের Concurrency

    Go একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার। এটি তৈরীর সময় সব প্লাটফর্ম যেমন Linux, Mac Os, Microsoft Windows এর কথা মাথায় রেখে তৈরী করা হয়। অন্যান্য প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের চেয়ে গো এর সোর্স কোড সহজে বোঝা যায় এবং এগুলো দ্রুত কার্যকরী। 

     Java –  জাভা একটি জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা।  প্রথম দিকে জাভা কে ওক (Oak) বলা হতো। James Gosling – এর অফিসের বাইরের ওক গাছের সাথে মিল রেখে এই নাম রাখা হয়। এর পর এর নাম রাখা হয় গ্রীন।  James Gosling, Mike Sheridan, এবং Patrick Naughton তিন জন একদিন একটি কফিশপে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। তখন তারা ধোঁয়া ওঠা কফির কাপটা লক্ষ্য করেন এবং সেই কাপের সাথে মিল রেখে একটি লোগো তৈরী করেন এবং নাম পরিবর্তন করে জাভা রাখার পরিকল্পনা করেন।

    জাভা প্রকাশ পাওয়ার পর পর ই খুব দ্রুত ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষায় পরিণত হয়। এই জনপ্রিয়তার মূল কারণ এর বহনযোগ্যতা (Portability), নিরাপত্তা এবং অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং এবং ওয়েব প্রোগ্রামিং এর প্রতি পরিপূর্ণ সাপোর্ট। 

     Python – হচ্ছে একটি অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড  উচ্চস্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা। Guido Van Rossum 1991 সালে পাইথন প্রথম প্রকাশ করেন এবং বর্তমানে তিনিই পাইথনের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাকে পাইথনের আজীবন পরিচালক হিসেবে সন্মান দেওয়া হয়েছে। পাইথন তৈরী করার সময় প্রোগ্রামের পঠনযোগ্যতার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এটি একটি পুরোপুরি চলমান প্রোগ্রামিং ভাষা এবং এর স্বনিয়ন্ত্রিত মেমরি ব্যবস্থাপনা রয়েছে।

    নাসা এবং গুগল পাইথন ব্যবহার করে। পাইথনের রয়েছে নিজস্ব অসংখ্য মডিউল এবং লাইব্রেরি। তবুও বিশেষ ধরনের কাজের জন্য বিশেষভাবে তৈরী এর অনেক প্যাকেজ পাওয়া যায়।

     Node – বা Node.js হচ্ছে একটি ওপেন সোর্স, ক্রস প্ল্যাটফর্ম, জাভাস্ক্রিপ্ট রান-টাইম এনভায়রনমেন্ট। এটি ব্রাউজারে বাইরে টার্মিনালে কম্পাইল করা হয়। এটি সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং ও কমান্ড লাইন টুল এর জন্য ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইট লোড হওয়ার আগে স্ক্রিপ্ট সার্ভার সাইড এর কম্পিউটারে রান হয় এবং ডাইনামিকভাবে ওয়েবপেজ লোড করে। Ryan Dahl 2011 সালে প্রথম Node.js সবার সামনে প্রকাশ করেন।

    Database Management ল্যাংগুয়েজ

    গুগল তাদের ডাটাবেইজ ম্যানেজ করতে ব্যবহার করেছে –

    • BigTable 
    • MariaDB 

     BigTable – হচ্ছে গুগলের তৈরী একটি Data Storage System/Cloud Storage. এটি একটি High Performance ডাটা স্টোরেজ সিস্টেম যা Google File System, Chubby Lock Service এবং গুগলের আরো কিছু টেকনোলজি এর উপর তৈরি করা হয়েছে। এটার ইনিশিয়াল রিলিজ হয় February 2005 এবং এটি তৈরী করা হয়  C++, Java, Python, Go এবং Ruby দিয়ে।

     MariaDB – হলো সফটওয়্যার ডেভেলপারদের দ্বারা উন্নীত MySQL রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অনুলিপি সমর্থিত একটি মুক্ত এবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যার। এটা MySQL এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে তৈরী করা হয়েছে। এটার স্ট্যাবল রিলিজ হয় 29 October 2009 এ। এর প্রধান ডেভেলপার Michael Widenius তার বড় মেয়ে Maria এর নামানুসারে এর নাম রাখেন MariaDB.


    2. Facebook 

     Facebook – হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। ফেইসবুক হল মেটা প্ল্যাটফর্মসের মালিকানাধীন বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন, সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন।

    Source: Wikipedia

    Front-end ~ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ

      ফেসবুক তাদের ফ্রন্ট-এন্ড এ ব্যবহার করেছে –

    • JavaScript

    Back-end (Server-side)  ল্যাংগুয়েজ

    ফেসবুক তাদের ব্যাক-এন্ড এ ব্যবহার করেছে –
    • Hack
    • PHP (HHVM)
    • Python
    •  C++
    • Java
    • Erlang
    • D
    • XHP
    •  Haskell

     Hack – হচ্ছে হিপহপ ভার্চুয়াল মেশিন (HHVM)  এর জন্য একটি প্রোগ্রামিং ভাষা। এটিকে PHP এর উপভাষা হিসেবে ফেসবুক তৈরী করেছে। এটি ওপেন সোর্স এবং এমআইটি লাইসেন্সের আওতায় লাইসেন্সযুক্ত। হ্যাক 20 মার্চ  2014 সালে ফেসবুক চালু করে। হ্যাক PHP এর সাথে নির্বিঘ্নে আন্তঃসংযোগ স্থাপনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। বেশির ভাগ PHP স্ক্রিপ্ট হ্যাক এ ব্যবহার করা যায়।হ্যাক হচ্ছে ওপেন সোর্স স্ক্রিপ্টিং ভাষা।

     PHP – হচ্ছে একটি প্রোগ্রামিং ভাষা যা মূলত সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং এর জন্য ব্যবহৃত হয়। Rasmus Lerdorf 1995 সালে পিএইচপি উদ্ভাবন করেন। 20 মিলিয়নেরও বেশি ওয়েবসাইট ও 1 মিলিয়ন ওয়েব সার্ভারে পিএইচপি ব্যবহৃত হচ্ছে। PHP দিয়ে সিম্পল, ডায়নামিক ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন/ওয়েবসাইট  বানানো যায়। পিএইচপি একটি ফ্রী সফটওয়্যার যা পিএইচপি লাইসেন্স এর অধীনে রিলিজ হয়।

     Erlang – হচ্ছে একটি জেনারেল পারপাস ফাংশনাল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এবং এটি হচ্ছে গার্বেজ কালেক্টেড রান টাইম সিস্টেম। Erlang প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের আছে ইমিউট্যাবল ডাটা, প্যাটার্ন ম্যাচিং এবং ফাংশনাল প্রোগ্রামিং ফিচারস। এটি প্রথম প্রকাশ পায় 1986 সালে। Joe Armstrong, Robert Virding এবং Mike Williams এটা তৈরী করেন। একটি সাধারণ Erlang অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয় অসংখ্য ছোট ছোট Erlang প্রসেস এর মাধ্যমে। Erlang হচ্ছে একটি ওপেনসোর্স প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এবং এটি ওপেন টেলিকম প্ল্যাটফর্ম দ্বারা মেইনটেইন্ড হয়ে থাকে।

     D – ডি যা ডিল্যাং নামেও পরিচিত, হচ্ছে একটি স্বতন্ত্র প্রোগ্রামিং ভাষা। এটি হচ্ছে একটি মাল্টি প্যারাডাইম সিস্টেম প্রোগ্রামিং ভাষা। এটি তৈরি করা হয়েছে সি++ কে অনুসরণ করে। এটিতে সি++ এর কিছু মূল বৈশিষ্ট্য কে পুনরায় নতুন করে আরো বেশি সুবিধার সাথে যোগ করা হয়েছে। তাছাড়া এটিতে রুবি, পাইথন,  সি#, জাভা ও আইফেল এর মত উল্লেখযোগ্য কিছু ভাষার বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ডিল্যাং Alter Bright এবং Andrei Alexandrescu দু’জন মিলে  2001 সালে তৈরী করেন।

     XHP – হচ্ছে PHP এবং Hack এর বর্ধিত রূপ যেটা ফেসবুক 2010 সালে তৈরী করে। এটার প্রধান ডেভেলপার হচ্ছেন Marcel Laverdet. এটা প্রথমে ফেসবুক লাইট এর জন্য একটি নতুন UI রেন্ডারিং লেয়ার হিসাবে তৈরী করা হয়েছিল। পরে ফেসবুক এটিকে পোর্ট করে অন্যান্য জায়গায় ব্যবহার করে। এটা তৈরী করার মূল উদ্দেশ্য ছিল XML সিনট্যাক্স থেকে কাস্টম এবং পুনরায় ব্যবহারযোগ্য HTML এলিমেন্টস তৈরী করা। XHP একটি পুরো HTML ডকুমেন্টস এর সিনট্যাক্স এবং গঠন পরিবর্তন করতে পারে। যদি কোনো ট্যাগ সঠিকভাবে বন্ধ না করা হয় বা ডকুমেন্টস এ যদি ভুল কোনো অ্যাট্রিবিউটস থাকে তাহলে XHP সেটাকে সংশোধন করতে পারে।

     Haskell –  হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন নির্মাণের ব্যবহার উপযোগী বিশুদ্ধ ফাংশনাল প্রোগ্রামিং ভাষা। এটিতে রয়েছে নন-স্ট্রিকট সিমেনটিকস এবং স্ট্রং স্ট্যাটিক টাইপিংয়ের সুবিধা। এটির নাম রাখা হয় Haskell Curry এর নামানুসারে যিনি ছিলেন একজন আমেরিকান গণিতবিদ। এটি প্রথম প্রকাশ পায় 1990 সালে। হ্যাসকেল যারা ডিজাইন করেন তাদের মধ্যে ছিলেন Lennart Augustsson, Dave Barton এবং Brian Boutel সহ আরও অনেকে। May 2021 হ্যাসকেল ছিল 28তম সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ভাষা। 

    Database Management ল্যাংগুয়েজ

     ফেসবুক তাদের ডাটাবেইজ ম্যানেজ করতে ব্যবহার করেছে –

    • MariaDB
    •  MySQL
    • HBase
    • Cassandra.

     MySQL – হচ্ছে একটি ওপেনসোর্স রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এটি ছোট-বড় যে কোনো অ্যাপ্লিকেশন এ ব্যবহার করা যায়। এটি ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং এটি দ্রুততর ও নির্ভরযোগ্য। এটি ওরাকল কর্পোরেশন ডেভলপ করেছে এবং এটার সম্পূর্ণ সাপোর্ট তারাই দিয়ে থাকে। MySQL ডেটাবেজে ডেটা সাধারণত টেবিলে জমা রাখা হয়। সহ-প্রতিষ্ঠাতা Michael Widenius এর  কন্যা ‘My‘ এর নামানুসারে MySQL নামকরণ করা হয়।

     HBase – Apache Hbase হচ্ছে একটি ওপেনসোর্স নন-রিলেশনাল ডিস্ট্রিবিউটেড ডাটাবেজ যেটা গুগলের Bigtable এর আদলে তৈরী এবং এটা জাভা’তে প্রোগ্রাম করা। এটি ডেভেলপ করেছেন Apache Software Foundation. এটি 28 March 2008 সালে প্রথম প্রকাশ পায়। এটি তৈরী করা হয় অনেক বেশি ডাটা একসাথে স্টোর করে রাখার জন্য এবং একাধিক ডাটার মধ্য থেকে কিছু নির্দিষ্ট বা অল্প সংখ্যক ডাটাকে খুঁজে পেতে। এটার রয়েছে প্রশস্ত ডাটা কলাম।

     Cassandra –  হচ্ছে একটি ফ্রি এবং ওপেন সোর্স, ডিস্ট্রিবিউটেড, ওয়াইড-কলাম স্টোর, NoSQL ডাটাবেইজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যা ডিজাইন করা হয়েছে বিশাল সংখ্যক ডাটা’কে হ্যান্ডেল করার জন্য। Cassandra নিশ্চিত করে High Availability এবং No Single Point Of Failure. এটি তৈরী করেন Avinash Lakshman এবং Prashant Malik(Facebook). এটা July 2008 এ প্রকাশ পায়। 


    3. YouTube

    kih-lagbe.blogspot.com

    YouTube – হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট। Youtube হলো সান ব্রুনো, ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক একটি মার্কিন অনলাইন ভিডিও-শেয়ারিং সাইট যা 2005 সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। 2006 সালের অক্টোবরে, গুগল সাইটটিকে 1.65 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ক্রয় করে নেয়। ইউটিউব বর্তমানে গুগলের অন্যতম অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।

    Source: Wikipedia

    Front-end ~ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ

     YouTube – তাদের ফ্রন্ট-এন্ড এ ব্যবহার করেছে –

     

    • JavaScript
    • TypeScript

    Back-end (Server-side)  ল্যাংগুয়েজ

     YouTube –  তাদের ব্যাক-এন্ড এ ব্যবহার করেছে –

    • C
    • C++
    • Python
    • Java
    • Go

    Database Management ল্যাংগুয়েজ

      YouTube – তাদের ডাটাবেইজ ম্যানেজ করতে ব্যবহার করেছে –

    • Vitess
    • BigTable
    • MariaDB

     Vitess – হচ্ছে একটি ওপেন সোর্স ডাটাবেইজ সিস্টেম যেটা বড় সংখ্যক ডাটাকে সহজেই ম্যানেজ করতে সক্ষম। এটা বর্তমানে MySQL, Percona এবং MariaDB সাপোর্ট করে। Vitess সাধারণত SQL এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফিচারসগুলোকে একসাথে করে সেগুলোকে আরও উন্নত করেছে। Vitess 5 বছর ধরে ইউটিউবের ডাটাবেইজ ট্রাফিক ম্যানেজ করতে সাহায্য করেছে।


    4. Yahoo 

    kih-lagbe.blogspot.com

    Yahoo – হচ্ছে একটি বিশাল ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এর প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন Jerry Yang এবং David Filo. ইয়াহু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় একটি ওয়েবসাইট। সংবাদ সংস্থা গুলোর তথ্য অনুসারে ইয়াহুর নিয়মিত ব্যবহারকারী প্রায় 700 মিলিয়ন। ইয়াহুর মতে, প্রতি মাসে প্রায় 5 কোটি মানুষ ত্রিশটি ভাষায় ইয়াহু ব্যবহার করে। ইয়াহুর মোট কর্মীসংখ্যা 8,600 জন (2017)

    Front-end ~ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ

     

    ইয়াহু তাদের ওয়েবসাইটে front-end এ ব্যবহার করেছে –

    • JavaScript

    Back-end (Server-side)  ল্যাংগুয়েজ

    ইয়াহু ইউজারদের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করার জন্য back-end এ ব্যবহার করেছে – 

    • PHP

    Database Management ল্যাংগুয়েজ

      Yahoo – তাদের ডাটাবেইজ ম্যানেজ করতে ব্যবহার করেছে –

    • PostgreSQL
    •  HBase
    •  Cassandra
    • MongoDB

     PostgreSQL –   হচ্ছে একটি বিনামূল্যের এবং ওপেন সোর্স রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এসকিউএল এর অনেক সঙ্গে এর সামঞ্জস্যপূর্ণ রয়েছে। শুরুতে এর নাম ছিল POSTGRES. এটি সমস্ত অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে রান করতে পারে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাটাবেজে থাকা ডাটা পরিবর্তন বা নতুন সংযোজন করতে পারে। বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীর তথ্য স্টোর করা কিংবা ওয়েব সার্ভিসে তৈরি বিপুল কর্মভার সামাল দেওয়ার জন্য এটি তৈরি করা হয়। এটি সি ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এর প্রাথমিক সংস্করণ প্রকাশ পায় 8 জুলাই 1996 সালে।

     MongoDB – হচ্ছে একটি ওপেনসোর্স ডকুমেন্ট অরিয়েন্টেড নোএসকিউএল ডেটাবেজ প্রোগ্রাম। এটি একটি ডাইনামিক স্কিমা ডাটাবেজ অর্থাৎ আপনাকে একটি রেকর্ড তৈরি করার পূর্বে কোন স্ট্রাকচার নির্ধারণ করে দিতে হয় না। এটি ডেভেলপ করেছে MongoDB ইনকর্পোরেশন। এটি ব্যবহার করে কমপ্লেক্স ডেটা স্ট্রাকচার খুব সহজেই তৈরি করা যায়। এটিতে ডকুমেন্ট এর স্ট্রাকচার তৈরি করা হয় সাধারণত ডেটাবেজে ইউজ করা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের ক্লাস এবং অবজেক্টের উপর ভিত্তি করে। এটি প্রথম প্রকাশ পায় February 11 2009 সালে। 


    5. Amazon

    kih-lagbe.blogspot.com

    Amazon – হচ্ছে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট। অ্যামাজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ইন্টারনেট ভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। অ্যামাজন সর্বপ্রথম একটি অনলাইন বইয়ের দোকান হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু শীঘ্রই তারা পর্যায় ক্রমে ডিভিডি,ভিএইচএস, সিডি, ভিডিও এবং mp3 ডাউনলোড/স্ট্রিমিং, সফটওয়্যার, ভিডিও গেম, ইলেকট্রনিক্স, পোশাক, আসবাবপত্র, খাবার, খেলনা এবং গহনা বিক্রয় করা শুরু করে। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন জেফ বেজোস। অ্যামাজন এর প্রতিষ্ঠাকাল হচ্ছে 5 ই জুলাই 1994 সালে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ওয়াশিংটনের সিয়াটলে অ্যামাজন এর সদর দপ্তর অবস্থিত। এর প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি।

    Front-end ~ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ

    Amazon – তাদের front-end এ ব্যবহার করেছে –

    • JavaScript

    Back-end (Server-side)  ল্যাংগুয়েজ

    Amazon – তাদের ব্যাক-এন্ড এ ব্যবহার করেছে –

    • Java
    •  C++
    • Perl

     Perl – হচ্ছে একটি উচ্চস্তরের চলমান প্রোগ্রামিং ভাষা। Larry Wall হচ্ছে এর উদ্ভাবক এবং হাজার 1987 সালে তিনি এটি প্রথম প্রকাশ করেন। পার্ল অন্যান্য অনেক প্রোগ্রামিং ভাষা যেমন বোর্ন শেলসিলিস্প ইত্যাদি এর কাছ থেকে ফিচারস ধার করেছে। স্ট্রিং প্রক্রিয়াকরণে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ভাষা হচ্ছে পার্ল। আগে যে সকল স্ক্রিপটিং ভাষা ছিল তাদের তুলনায় এর সীমাবদ্ধতা ছিল অনেক কম। গাঠনিকভাবে পার্ল অক এবং সি ভাষায় প্রচলিত দ্বিতীয় বন্ধনীতে আবদ্ধ কোড ব্লকের ধারণা অনুসরণ করেছে।

    Database Management ল্যাংগুয়েজ

      Amazon – তাদের ডাটাবেইজ ম্যানেজ করতে ব্যবহার করেছে – 

    • DynamoDB
    • RDS/Aurora
    • Redshift

     DynamoDB – হচ্ছে একটি সম্পূর্ণরূপে পরিচালিত মালিকানাধীন NoSQL ডাটাবেজ পরিষেবা যেটা Key-Value এবং Document Data Structure সমর্থন করে। এটি অ্যামাজন এর নিজস্ব ডাটাবেজ ল্যাংগুয়েজ যেটা তাদের ওয়েব সার্ভিস অর্থাৎ অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসে ব্যবহার করা হয়। ডায়নামোডিবি অ্যামাজনের CTO ওয়ার্নার ভোগেল জানুয়ারী 18  2012 সালে ঘোষণা করেছিলেন। এটি অ্যামাজন এর SimpleDB এর বিবর্তন হিসেবে এসেছিলো। ডায়নামোডিবি ক্রস প্লাটফর্ম সাপোর্টেড ডকুমেন্ট ওরিয়েন্টেড ডাটাবেজ সিস্টেম।

     RDS/Aurora – বা Amazon RDS হচ্ছে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের একটি রিলেশনাল ডাটাবেজ  সার্ভিস। এটি হচ্ছে একটি ওয়েব সার্ভিস যেটা ক্লাউড এ চলমান থাকে। RDS ডিজাইন করা হয়েছিল অ্যাপলিকেশন এর সেটআপ বা কাজকে সহজ করা। তাছাড়া অ্যাপ্লিকেশন এর ডাটাবেজকে স্কেলিং করাও এর উদ্দেশ্য।  এটি অ্যামাজন ডেভেলপ করেছে  2009 সালের অক্টোবর মাসে।

     Amazon Aurora হচ্ছে একটি রিলেশনাল ডাটাবেজ  সার্ভিস যেটা অ্যামাজন ডেভেলপ করেছে তাদের নিজেদের ব্যবহার করার জন্য। এটি 2014 সালে অ্যামাজন প্রকাশ করে। Aurora প্রথম দিকে MySQL এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে তৈরী করা হয়েছিল। পরে এটিতে PostgreSQL কম্প্যাটিবিলিটি যোগ করা হয়। অরোরা‘র রয়েছে ফাস্ট ডাটাবেজ ক্লোনিং ফিচার। দুইটি সেম বা একই হার্ডওয়্যারে MySQL এর উপর পরীক্ষা করে পাওয়া  গেছে অরোরা পাঁচগুণ বেশি কর্মক্ষমতা  বাড়িয়ে দেয়।

     Redshift – বা Amazon Redshift হলো একটি ডাটা ওয়্যারহাউজ পণ্য যা বৃহত্তর ক্লাউড-কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম  Amazon Web Service এর অংশ।এটি তৈরী করা হয়েছে বড় আকারের ডেটা সেট এবং ডাটাবেজ স্থানান্তর পরিচালনা করার জন্য।  রেডশিফ্ট অ্যামাজনের অন্যান্য ডাটাবেজ যেমন অ্যামাজন আরডিএস  থেকে আলাদা। রেডশিফ্ট বড় বড় ডেটা সেটগুুলিতে বিশ্লেষণাত্মক কাজের চাপ সামলাতে সক্ষম। রেডশিফ্ট সাধারণত  একটি ক্লাস্টারে 16 পেটাবাইট পর্যন্ত ডেটা সমর্থন করে। অ্যামাজন রেডশিফ্ট PostgreSQL 8.0.2 এর একটি পুরনো সংস্করণের উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে এবং রেডশিফ্ট সেই সংস্করণে পরিবর্তন করেছে।




    6. Wikipedia 

    kih-lagbe.blogspot.com

    Wikipedia – হচ্ছে একটি ফ্রি অনলাইন তথ্য ভান্ডার। মূলত এটি সম্মিলিতভাবে সম্পাদিত, বহুভাষিক, মুক্ত প্রবেশাধিকার, মুক্তকন্টেন্ট সংযুক্ত একটি ইন্টারনেট বিশ্বকোষ যা অলাভজনক উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক সমর্থিত, আয়োজিত এবং পরিচালিত হয়ে থাকে। যে কেউ উইকিপিডিয়া ওয়েবসাইটে প্রবেশের মাধ্যমে যেকোনো নিবন্ধের সম্পাদনা করতে পারেন। উইকিপিডিয়া সম্মিলিতভাবে ইন্টারনেটে সাধারণ তথ্যসূত্রের ঘাটতি পূরণ করে থাকে। স্বেচ্ছাসেবীরা সম্মিলিতভাবে বিশ্বব্যাপী 301 টি ভাষার প্রায় 40 মিলিয়ন নিবন্ধ উইকিপিডিয়ায় রচনা করেছেন। Jimmy Wales এবং Larry Sanger 15 জানুয়ারি 2001 সালে উইকিপিডিয়া চালু করেন।

    Front-end ~ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ

     

    উইকিপিডিয়া ওয়েবসাইটের front-end এ ব্যবহার করা হয়েছে –

    • JavaScript

    Back-end (Server-side)  ল্যাংগুয়েজ

    উইকিপিডিয়াতে back-end হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে – 

    • PHP 

    Database Management ল্যাংগুয়েজ

     উইকিপিডিয়ায় ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে –
    • MariaDB

    7. Twitter 

    kih-lagbe.blogspot.com

    Twitter – হচ্ছে একটি জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ওয়েবসাইট। এর সদর দপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিস্কো তে। টুইটার 21 মার্চ 2006 সালে চালু হয়। জ্যাক ডরসি, নোয়া গ্লাস, বিজ স্টোন এবং ইভান উইলিয়ামস এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ডিসেম্বর 2020 এর তথ্য অনুযায়ী টুইটারে কর্মচারীর সংখ্যা 5500+

    Front-end ~ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ

    টুইটার তাদের front-end এ ব্যবহার করেছে – 

    • JavaScript

    Back-end (Server-side)  ল্যাংগুয়েজ

    টুইটার তাদের back-end এ ব্যবহার করেছে – 

    •  C++
    • Java
    • Scala
    • Ruby

     Scala – একটি শক্তিশালী স্ট্যাটিকালি টাইপ করা সাধারণ উদ্দেশ্য প্রোগ্রামিং ভাষা! এটি Object-Oriented প্রোগ্রামিং এবং Functional Programming উভয়কেই সমর্থন করে। স্কালা সোর্সকোড জাভা বাইটকোডে কম্পাইল করা যায় এবং একটি জাভা ভার্চুয়াল মেশিনে এটিকে রান করানো যায়। জাভার মত! স্কালা হলো একটি Object-Oriented প্রোগ্রামিং ভাষা। স্কালা কার্লি ব্রেসেস বা কোঁকড়া বন্ধনী নামে একটি সিনট্যাক্স ব্যবহার করে যা সি ভাষা এর অনুরূপ। জাভা তে উপস্থিত না থাকা স্কালার বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে অপারেটর ওভারলোডিং।

     Ruby – হচ্ছে একটি রিফ্লেক্টিভ, চলমান, অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। রুবি এর সিনট্যাক্স মূলত নেয়া হয়েছে পার্ল থেকে। রুবি একটি একক ধাপের ইন্টারপ্রেটেড প্রোগ্রামিং ভাষা। রুবিতে স্মল টক এর মত অবজেক্ট অরিয়েন্টেশন বা বস্তু সংশ্লিষ্টতা যুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া এতে পাইথন, লিস্প, ডিলন ও সিএলইউ এর কিছু বৈশিষ্ট্যও যুক্ত হয়েছে। রুবি প্রথম প্রকাশ পায় 1995 সালে।এটি ডিজাইন/ডেভেলপ করেছেন Yukihiro Matsumoto.

    Database Management ল্যাংগুয়েজ

    টুইটার তাদের ডাটাবেজ ম্যানেজ করার জন্য ব্যবহার করেছে – 

    • MySQL

    8. LinkedIn 

    kih-lagbe.blogspot.com

    LinkedIn – হচ্ছে একটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এবং এটি Microsoft এর অধীনস্থ। এটি 2002 সালের ডিসেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং 5 মে 2003 সালে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়। লিংকডইন  সাধারণত পেশাজীবীরাই বেশি ব্যবহার করে থাকেন। এর সদর দপ্তর মাউন্টেইন ভিউ, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র। Reid Hoffman, Eric Ly এবং Ryan Roslansky 2003 সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।

    Front-end ~ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ

    LinkedIn – তাদের front-end এ ব্যবহার করেছে – 

    • JavaScript

    Back-end (Server-side)  ল্যাংগুয়েজ

    LinkedIn – তাদের back-end এ ব্যবহার করেছে – 

    • Java
    • JavaScript
    • Scala

    Database Management ল্যাংগুয়েজ

     LinkedIn – তাদের ডাটাবেজ ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে ব্যবহার করেছে – 

    • Venice

    9. Pinterest 

    kih-lagbe.blogspot.com

    Pinterest – হচ্ছে একটি ফটো শেয়ারিং ওয়েবসাইট। পিন্টারেস্ট এর মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ও রয়েছে। পিন্টারেস্ট ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই ব্যবহারকারীকে ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে সাইন আপ করতে হবে। পিন্টারেস্ট 2010 সালে যাত্রা শুরু করে। 

    পল শিয়ারা, ইভান শার্প এবং বেন সিলবারমান এই তিনজন মিলে পিন্টারেস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। পিন্টারেস্ট এর ওয়েবসাইটে কোন বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা হয় না। সান ফ্রান্সিসকো‘তে পিন্টারেস্ট এর সদর দপ্তর রয়েছে। 2021 সালের তথ্য অনুযায়ী কোম্পানিটিতে 3225 জন কর্মচারী রয়েছে।

    Front-end ~ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ

    Pinterest – তাদের ওয়েবসাইটের ফ্রন্ট-এন্ড এ ব্যবহার করেছে – 

    • JavaScript

    Back-end (Server-side)  ল্যাংগুয়েজ

     ব্যাক-এন্ড হিসেবে পিন্টারেস্ট ব্যবহার করেছে – 
    • Python (Django)
    • Erlang

    Database Management ল্যাংগুয়েজ

     Pinterest – তাদের ডাটাবেজ ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে ব্যবহার করেছে – 

    • MySQL
    • Redis

     Redis – বা Remote Dictionary Server হচ্ছে একটি In-Memory Data  Structure বা In-Memory Key-Value Database সিস্টেম। এটি বিভিন্ন ধরনের ডাটা স্ট্রাকচার সাপোর্ট করে যেমন – Abstract Data Structures, Strings, Lists, Maps, Sets, Sorted Sets, Bitmaps, Streams, HyperLogLogs এবং Spatial Indices. রেডিস ডেভেলপ করেন Salvatore Sanfilippo এবং তিনিই এটি নিয়ন্ত্রণ করতেন। কিন্তু 2020 সালে তিনি মেইনটেইনার পদ থেকে সরে আসেন। রেডিস একটি ওপেনসোর্স সফটওয়্যার। এটি প্রথম প্রকাশ পায় মে 10 2009 সালে।


    10. WordPress.com 

    kih-lagbe.blogspot.com

    WordPress – হচ্ছে বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্লগ পাবলিশিং অ্যাপলিকেশনস। ওয়ার্ডপ্রেস একটি শক্তিশালী CMS বা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। ওয়ার্ডপ্রেস পিএইচপি এবং মাইএসকিউএল দ্বারা তৈরী। এটি একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার। শুরুতে ওয়ার্ডপ্রেস একটি ফ্রী ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ছিল এবং পরবর্তীতে তারা একটি ইঞ্জিন তৈরি করে এবং বিনামূল্যে সেটা ডাউনলোড করে যেকোনো ব্লগারকে ব্যবহার করার সুযোগ করে দেয়। ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা কোনো প্রকার পিএইচপি, মাইএসকিউএল বা এইচটিএমএল জ্ঞান ছাড়াই একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। ওয়ার্ডপ্রেসে রয়েছে অসংখ্য প্লাগইনস যেগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই ওয়েব সাইটে বিভিন্ন ধরনের ফাংশনালিটি যোগ করা সম্ভব।ম্যাট মুলেনওয়েগ 2003 সালের 27 মে এটি প্রাথমিকভাবে প্রকাশ করেন। বর্তমানে ওয়াডপ্রেস সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। বর্তমান অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলোতে ওয়ার্ডপ্রেস এর ব্যবহার দেখা যায়।

    Front-end ~ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ

    ওয়ার্ডপ্রেস তাদের front-end এ ব্যবহার করেছে – 

    • JavaScript

    Back-end (Server-side)  ল্যাংগুয়েজ

    ওয়ার্ডপ্রেস তাদের ব্যাক এন্ড এ ব্যবহার করেছে – 

    • PHP

    Database Management ল্যাংগুয়েজ

    ওয়ার্ডপ্রেস তাদের ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে ব্যবহার করেছে – 

    • MariaDB


    আজকে এ পর্যন্তই।

    বুঝতে বা আমার লেখায় কোন ভুল-ত্রুটি থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আপনাদের মতামত জানাবেন। 

    আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতক্ষণ লেখাটি পড়ার জন্য। আপনার সময় অনেক অনেক ভালো কাটুক।

    ফেসবুকে আমি

    First Published – kih-lagbe.blogspot.com





    The post [Must Read] বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলো (Google, YouTube, Netflix) তৈরী করতে ব্যবহৃত হওয়া প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ [Learn Programming] appeared first on Trickbd.com.



    from Trickbd.com https://ift.tt/2TYaJBQ
    via IFTTT

    No comments:

    Post a Comment

    Fashion

    Beauty

    Travel