• এসএসসি রেজাল্ট ২০১৯ । নাম্বার সহ এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষার ফলাফল ২০১৯Breaking News

    Saturday, December 14, 2024

    New

    আসালামু ওয়ালাইকুম, আমি তানভীর আপনাদের জন্য ইন্টারনেটের এক নতুন জগতের সন্ধান নিয়ে আসলাম। আমি মূলত ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি খুব কম করে থাকি আর লেখা গুলো গুছিয়ে তুলতে পারিনি। অনেক ইংরেজি শব্দের মার্জিত রূপ আমার জানা নেই। তাও সাধু ভাষায় লেখার চেষ্টা করেছি। এখানে কিছু শব্দ আছে যা আমরা ইতিপূর্বে কখনো কোথাও শুনিনি। আপনি জানেন কি? এখনকার ইন্টারনেট ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে! আজকাল, যখন আমরা ওয়েব3.0 আর dApps এর কথা বলি, তখন মনে হয় যেন একটা নতুন যুগ শুরু হয়ে গেছে। এই ওয়েব3.0 আসছে, যা আগের ওয়েব1.0 আর ওয়েব2.0 এর চেয়ে একদম আলাদা। আর dApps তো পুরো ইন্টারনেটের ধারাকেই পাল্টে দিচ্ছে।

    dApps কী, আপনি জানেন? এর মানে হচ্ছে, ডিসেন্ট্রালাইজড অ্যাপস। এগুলো কোনো একটা কোম্পানির অধীনে না থেকে পুরোপুরি ব্লকচেইন এর মাধ্যমে চলে। অর্থাৎ, এখন আপনি আপনার তথ্য, অ্যাকাউন্ট—সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আর বড় কোম্পানি আর আপনার ডেটার মালিকানা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না! তার মানে হলো আমরা আগে যেমন ডেটা চুরির ভয়ে আমাদের ডিভাইস গুলোতে ব্যক্তিগত জীবনের কোনো কিছুই সিকিউর ফিল করতাম না। আমাদের মধ্যে এখনো ভয় কাজ করে কারণ ইন্টারনেট আমাদের জীবনের সাথে এমনভাবে জড়িয়ে গেছে একবেলা ভাত না খেয়েও কাটিয়ে দেওয়া যাবে তবে এই ইন্টারনেট ছাড়া বাঁচা যাবে না।

    ওয়েব3.0 কেন এত জরুরি?

    পুরানো ওয়েব1.0 আর ওয়েব2.0 ছিল কোম্পানি-কেন্দ্রিক, যেখানে সব কিছুই ছিল তাদের হাতে। কিন্তু ওয়েব3.0 এর মজা হলো, এখন আর ডেটার মালিকানা কোম্পানির হাতে থাকবে না। আপনি যদি কিছু শেয়ার করেন, তাহলে সেটা আপনারই থাকবে! ব্লকচেইন এর মাধ্যমে ডেটা সিকিউরিটি হবে আরও শক্তিশালী।

    dApps কীভাবে কাজে আসবে?

    ধরা যাক, আপনি যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি বা NFT নিয়ে কাজ করেন, তাহলে এই dApps আপনার কাজে লাগবে। আপনি খুব সহজে dApps এর মাধ্যমে আপনার ডিজিটাল পণ্য বাজারে (E-Commerce, Online Shop, NFT, MemeCoin etc) বিক্রি করতে পারবেন, কোম্পানি ছাড়াই।

    dApps আর ওয়েব3.0 এর উপকারিতা:

    1. ডিজিটাল অ্যাসেটস: আপনি এখন যেভাবে অনলাইনে কিছু কিনতে বা বিক্রি করতে গেলেন, অনেক সময় পকেট থেকে টাকা খরচ হয়। কিন্তু dApps এর মাধ্যমে এ সবই হবে ফ্রি।
    2. নতুন ব্যবসার সুযোগ: আপনি যদি স্টার্টআপ শুরু করতে চান, তাহলে dApps দিয়ে খুব সহজেই আপনার নিজের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারবেন।
    3. বিনামূল্যে সেবা: যেসব সেবা আগে টাকা দিয়ে পেতে হতো, সেগুলো এখন dApps এর মাধ্যমে বিনামূল্যে পাওয়া যাবে।
    4. ক্রিপ্টোকারেন্সি ও NFT: যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি অথবা NFT নিয়ে কাজ করেন, তাদের জন্য dApps খুবই উপকারী। আপনি এখন খুব সহজে dApps এর মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারবেন, সম্পত্তি কিনতে পারবেন, এমনকি কিছু বিক্রি করতে পারবেন ব্লকচেইন এর মাধ্যমে।
    5. এন্টারপ্রাইজ সল্যুশন: ছোট-বড় কোম্পানি বা স্টার্টআপগুলোর জন্য dApps দারুণ একটি প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। যেগুলোর মাধ্যমে তারা কম খরচে ডিসেন্ট্রালাইজড ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।
    6. ক্রিপ্টোকারেন্সি ও NFT: যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি অথবা NFT নিয়ে কাজ করেন, তাদের জন্য dApps খুবই উপকারী। আপনি এখন খুব সহজে dApps এর মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারবেন, assets কিনতে পারবেন, এমনকি কিছু বিক্রি করতে পারবেন ব্লকচেইন এর মাধ্যমে।

    তাহলে এই নতুন টেকিনোলজির সাথে খাপ খাইয়ে চালবো কীভাবে?  একে তো পৃথিবী এখন এ/আই এর দখলে তার উপর এই নতুন নতুন উদ্ভাবনা। আমাদের জীবন কী আরো জটিল হয়ে যাচ্ছে? নাকি সহজ হচ্ছে?

    আমাদের সব সময় চোখকান খোলা রেখে সব ধরনের পরিস্থিতিতে নতুন নতুন জিনিস গুলো শিখতে হবে। কারণ Learning and Applying is The Life.

    ওয়েব3.0 কেন শিখতে হবে?

    আপনি জানেন, এই ওয়েব3.0 এখনই শুরু হয়েছে! এখন যদি আপনি শিখে ফেলেন, তাহলে আপনার ভবিষ্যত খুবই উজ্জ্বল হবে। টেকনোলজির এই পরিবর্তন নিয়ে আপনি আগেভাগেই জানলে, তখন আপনি অনেক বড় সুযোগ পাবেন ভবিষ্যতে।

    কীভাবে ওয়েব 3.0 এর সাথে নিত্যনতুন জিনিস আয়ত্ত করবেন সে নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করবো। আপাতত আমি বিদায় নিচ্ছি আপনারা ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন।

    The post ওয়েব3.0 আর ডেসেন্ট্রালাইজড অ্যাপস (dApps): পরবর্তী প্রজন্মের ইন্টারনেট appeared first on Trickbd.com.



    from Trickbd.com https://ift.tt/fAnOhsj
    via IFTTT

    No comments:

    Post a Comment

    Fashion

    Beauty

    Travel